ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যৌতুকের টাকা না দেয়ায় বোরহানউদ্দিনে অন্ত:সত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ বাংলাদেশ থেকে সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে যে দেশগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, সেনাবাহিনী গ্রেফতার করল চারজনকে জমি উদ্ধারে দলিল দিয়ে সবই হারান ২৮ ভূমিহীন ১৩ টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতা কাজ পাননি একটিও গুলশান-বনানীর ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুরের প্রকৌশলী শেখ সোহেল বদলী হলে ও রাজু আছেন বহাল তবিয়তে ১ মাস আগে বদলি হলেও চেয়ার ছাড়ছেন না প্রকৌশলী তিতাস গ্যাসের ডিজিএম আতিয়া বিলকিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

দাখিল মাদ্রাসার আয়াকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান কর্মসুচী পালন

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম – শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার আয়া তকলিমাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে রোববার (১১ জুন) সকাল ৯ টায় মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এক অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।

অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে বক্তব্য রাখে মাদ্রাসার ছাত্র জুমন আহমদ,আমন উল্লাহ,শাওন আহমেদ, সুলেমান আহমদ,মাহফুজ হোসেন, ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার,বিউটি আক্তারসহ আরো অনেকেই।

ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়,আমাদের মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি ‘আয়া’ মোসাম্মদ তকলিমা বেগমের আচার – আচরন খুবই খারাপ।তার ব্যবহারে খুবই অতিষ্ট।মাদরাসার সভাপতি, সুপার ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। মাদ্রাসাকে ঘটনাস্থল উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ও বিভিন্ন দপ্তরে মাদরাসা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল করে। তাছাড়া তকলিমা বেগম ও তার স্বামী মহিউদ্দিন একাধিকবার গণমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদরাসার সুনাম ক্ষুন্ন সম্পর্কিত ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় ঐতিহ্যবাহী নয়াগ্রাম – শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুনাম – সুখ্যাতি দারুন ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

তকলিমা বেগমকে মাদ্রাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর গত ২১ মে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করার পরও মাদ্রাসার কমিটি দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাই আজ আমরা ‘আয়া’ তকলিমাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছি। তকলিমাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

এক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচী চলার পর মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম ও মাদ্রাসার সহকারি সুপার মোঃ ওয়াসিক উদ্দিন এসে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ‘আয়া’ তকলিমার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে ফিরে যায়।

উল্লেখ্য নয়াগ্রাম – শিমুলতলা মাদ্রাসার ‘আয়া’ তকলিমা বেগম বাদী হয়ে শিমুলতলা গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে জুমন মিয়ার বিরুদ্ধে শ্রীলতাহানির অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি পিটিশন মামলা ( নং- ১৯/ ২০২৩ ইং) দায়ের করেন। শ্লীলতাহানির স্থান মাদ্রাসার উল্লেখ করায় বিভিন্ন দপ্তর থেকে তদন্ত টিম আসতে থাকে। এতে মানসিক চাপসহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পরতে হয় বীড়ম্বনায়। অনেক শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসতে লজ্জাবোধ করে।

পরে মাননীয় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ২৭ ধারার বিধান মতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ডিসমিস করে দেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যৌতুকের টাকা না দেয়ায় বোরহানউদ্দিনে অন্ত:সত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ

দাখিল মাদ্রাসার আয়াকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান কর্মসুচী পালন

আপডেট সময় ০৯:২২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম – শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার আয়া তকলিমাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে রোববার (১১ জুন) সকাল ৯ টায় মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এক অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।

অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে বক্তব্য রাখে মাদ্রাসার ছাত্র জুমন আহমদ,আমন উল্লাহ,শাওন আহমেদ, সুলেমান আহমদ,মাহফুজ হোসেন, ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার,বিউটি আক্তারসহ আরো অনেকেই।

ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়,আমাদের মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি ‘আয়া’ মোসাম্মদ তকলিমা বেগমের আচার – আচরন খুবই খারাপ।তার ব্যবহারে খুবই অতিষ্ট।মাদরাসার সভাপতি, সুপার ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। মাদ্রাসাকে ঘটনাস্থল উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ও বিভিন্ন দপ্তরে মাদরাসা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল করে। তাছাড়া তকলিমা বেগম ও তার স্বামী মহিউদ্দিন একাধিকবার গণমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদরাসার সুনাম ক্ষুন্ন সম্পর্কিত ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় ঐতিহ্যবাহী নয়াগ্রাম – শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুনাম – সুখ্যাতি দারুন ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

তকলিমা বেগমকে মাদ্রাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর গত ২১ মে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করার পরও মাদ্রাসার কমিটি দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাই আজ আমরা ‘আয়া’ তকলিমাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছি। তকলিমাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

এক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচী চলার পর মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম ও মাদ্রাসার সহকারি সুপার মোঃ ওয়াসিক উদ্দিন এসে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ‘আয়া’ তকলিমার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে ফিরে যায়।

উল্লেখ্য নয়াগ্রাম – শিমুলতলা মাদ্রাসার ‘আয়া’ তকলিমা বেগম বাদী হয়ে শিমুলতলা গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে জুমন মিয়ার বিরুদ্ধে শ্রীলতাহানির অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি পিটিশন মামলা ( নং- ১৯/ ২০২৩ ইং) দায়ের করেন। শ্লীলতাহানির স্থান মাদ্রাসার উল্লেখ করায় বিভিন্ন দপ্তর থেকে তদন্ত টিম আসতে থাকে। এতে মানসিক চাপসহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পরতে হয় বীড়ম্বনায়। অনেক শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় আসতে লজ্জাবোধ করে।

পরে মাননীয় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ২৭ ধারার বিধান মতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ডিসমিস করে দেন।