ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা দেবিদ্বারে ৭বছরের শিশু ধর্ষণ মুখ খোললে মেরে বস্তা বন্ধি করার হুমকি

কুমিল্লা জেলা, দেবিদ্বার উপজেলা, সাইচাপারা গ্রামে সাত বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, জানাযায় সিংগাপুর প্রবাসী মো: মনির হোসেনের মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা ৭ বছর ২য় শ্রেণীতে পরে। গত শুক্রবার ১২ ঘটিকায় খেলতে যাওয়া অবুঝ শিশুকে একা ঘরে ডেকে নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ চালায় ইকবাল শাহ (৪৫), পিতা মৃত শরাফত আলী মাষ্টার। এর আগেও অনেক কেলেংকারী রয়েছে এই ইকবাল শাহের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের একটাই দাবি অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে ফাসি দেওয়া হোক।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায় প্রভাব ও অর্থের গরমে এসকল অন্যায় ধামাচাপা দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সাইচাপাড়া পাক দরবার শরিফ নামে একটি ভন্ডামি প্রতিষ্ঠান চালায় সে, ভন্ড পির সেজে অনেক কু-কর্ম করে বেড়ায়। ধর্ষক ইকবাল শাহ শিশু সিদরাতুল মুনতাহাকে মোবাইলে বিভিন্ন খারাপ ছবি দেখায় এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য বলে। যদি কাউকে বলে তবে তাকে মেরে বস্তায় পুরিয়ে ফেলে দিবে বলে ভয় দেখায়। শিশু সিদরাতুল মুনতাহার মা সীমা কান্নায়, আহাজারি করেন, বলেন ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে আমাকে কিছুই বলেনি চুপচাপ থাকে, হাটা চলা অস্বাভাবিক এবং অসুস্থ হয়ে পরে। আমার শাশুড়ী আমার মেয়েকে আলাদা রুমে জিজ্ঞাসা করলে তখন সে বিস্তারিত জানায়। ২য় শ্রেণিতে পড়া শিশুটি কোন কথাই জানায়নি আমাকে। আমি এ কষ্ট সইতে পারচায়না। দাদি আছিয়া বেগম বলেন আমার নাতনি একটি শিশু বাচ্চা সে হাটতে পারছেনা ব্যাথার কারনে তাকে ডাক্তার দেখাই। এমন ভন্ড ধর্ষকের ফাসির দাবি করেন।

ঘটনার পর থেকে ইকবাল শাহ রাতের আধারে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইকবাল শাহের নাম্বারে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মা সীমা জানান আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন আমার মেয়ের সাথে অন্যায় কারীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ স্বাস্থি দাবি করেন। গত ৬ জুন ২০২৩ ইং তারিখ দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করি। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধারায় মামলা রুজি হয়।

ওসি তদন্ত খাদেমুল বাহার জানান মামলা রুজি হয়েছে আসামীকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আসামি পলাতক তবে পালিয়ে বেশি দিন থাকতে পারবেনা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা দেবিদ্বারে ৭বছরের শিশু ধর্ষণ মুখ খোললে মেরে বস্তা বন্ধি করার হুমকি

আপডেট সময় ০৮:১৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

কুমিল্লা জেলা, দেবিদ্বার উপজেলা, সাইচাপারা গ্রামে সাত বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, জানাযায় সিংগাপুর প্রবাসী মো: মনির হোসেনের মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা ৭ বছর ২য় শ্রেণীতে পরে। গত শুক্রবার ১২ ঘটিকায় খেলতে যাওয়া অবুঝ শিশুকে একা ঘরে ডেকে নিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ চালায় ইকবাল শাহ (৪৫), পিতা মৃত শরাফত আলী মাষ্টার। এর আগেও অনেক কেলেংকারী রয়েছে এই ইকবাল শাহের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের একটাই দাবি অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে ফাসি দেওয়া হোক।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায় প্রভাব ও অর্থের গরমে এসকল অন্যায় ধামাচাপা দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সাইচাপাড়া পাক দরবার শরিফ নামে একটি ভন্ডামি প্রতিষ্ঠান চালায় সে, ভন্ড পির সেজে অনেক কু-কর্ম করে বেড়ায়। ধর্ষক ইকবাল শাহ শিশু সিদরাতুল মুনতাহাকে মোবাইলে বিভিন্ন খারাপ ছবি দেখায় এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য বলে। যদি কাউকে বলে তবে তাকে মেরে বস্তায় পুরিয়ে ফেলে দিবে বলে ভয় দেখায়। শিশু সিদরাতুল মুনতাহার মা সীমা কান্নায়, আহাজারি করেন, বলেন ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে আমাকে কিছুই বলেনি চুপচাপ থাকে, হাটা চলা অস্বাভাবিক এবং অসুস্থ হয়ে পরে। আমার শাশুড়ী আমার মেয়েকে আলাদা রুমে জিজ্ঞাসা করলে তখন সে বিস্তারিত জানায়। ২য় শ্রেণিতে পড়া শিশুটি কোন কথাই জানায়নি আমাকে। আমি এ কষ্ট সইতে পারচায়না। দাদি আছিয়া বেগম বলেন আমার নাতনি একটি শিশু বাচ্চা সে হাটতে পারছেনা ব্যাথার কারনে তাকে ডাক্তার দেখাই। এমন ভন্ড ধর্ষকের ফাসির দাবি করেন।

ঘটনার পর থেকে ইকবাল শাহ রাতের আধারে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইকবাল শাহের নাম্বারে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মা সীমা জানান আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন আমার মেয়ের সাথে অন্যায় কারীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ স্বাস্থি দাবি করেন। গত ৬ জুন ২০২৩ ইং তারিখ দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করি। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধারায় মামলা রুজি হয়।

ওসি তদন্ত খাদেমুল বাহার জানান মামলা রুজি হয়েছে আসামীকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আসামি পলাতক তবে পালিয়ে বেশি দিন থাকতে পারবেনা।