ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নিজ বসতঘর থেকে শাহজাহান (৫৫) নামে একজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় বাড়ির পাশের ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের ঘাটুরি শনিবার (১০ জুন) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাজাহান পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী, সে ওই এলাকার মৃত ইয়ার উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঘাটুরি গ্রামের শাহজাহান আলীর চার মেয়ে এক ছেলে রেখে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ২য় বিয়ে করেন, সে স্ত্রী ১ মাসের মধ্যে স্বামী ছেড়ে চলে যায়।পুনরায় ১০ মাস আগে রাশিদা (৪০) নামের এক মহিলাকে আবার বিয়ে করেন।
শুক্রবার রাতে অন্য সময়ের মত তার বর্তমান স্ত্রী রাশিদা বেগম(৪০)কে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে যান। তার আগের স্ত্রীর ঘরের ১০ বছর বয়সী এক মেয়ে সাহিদাকে তার সৎ মা রাশিদা বেগম বাড়িতে কবিরাজ আসবে বলে তাদের পুরাতন বাড়িতে ঘুমাতে পাঠায়।
শিশু মেয়ে মায়ের কথা মত অন্য বাড়িতে ঘুমাতে যায়। ভোরে তাদের মেয়ে বাবা-মাকে ডাকতে গিয়ে কোন সারা না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখে বাবার রক্তাক্ত লাশ বিছানায় পড়ে আছে। মা রাশিদা ঘরে নেই। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দেখে শাহজাহানের গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে আছে। পড়ে লোকজন তার স্ত্রী রাশিদাকে বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেতের ভেতরে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়।
এসময় তার শরীর বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী হত্যার কারণ সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারেনি। নিহতের মেয়েরা জানান, তাদের তেমন কোন শত্রু নেই। তবে চাচাদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।
শাজাহানের পৈত্রিক জায়গা-জমি নিয়ে ভাইদের সাথে ঝগড়া ছিল। শনিবার স্থানীয় সালিশ-মীমাংসা হওয়ারও কথা ছিল বলে এলাকাবাসী জানায়।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। ভাইদের সাথে জমি নিয়ে ঝগড়া আছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে সিআইডি,ডিবি পুলিশসহ কাজ করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।