নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশুটিকে কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুন) সকাল ৮টায় কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর চাষী ক্লাব এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় মুল অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জহুরুল ইসলাম। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় নাটোর মডেল থানা পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৯ জুন) সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে একদিন আগে ভূমিষ্ঠ শিশুটি তার দাদি খাইরুন নাহারের কোলে ছিল। পরে বেলা ১২টার দিকে নার্সের পোশাক পরিহিত এক নারী এসে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে তার দাদির কোল থেকে নিয়ে যায়।
পরে দীর্ঘসময় ওই নার্স ফিরে না আসায় স্বজনরা শিশুটির খোঁজ করতে থাকেন। পরবর্তীতে পুরো হাসপাতাল চত্বরে সেই নারীর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পরপরই সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে।
টানা অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধারসহ মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের কাজ বলে জানা গেছে। অন্য অভিযুক্তদের ধরতেও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, মূল অভিযুক্ত নারীর বাড়ি খাজানগর চাষী ক্লাব এলাকায়। দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে তার সন্তান না হওয়ায় একটি চক্রের মাধ্যমে গতকালই কন্যা সন্তানটি কিনেছিলেন তারা। আর ওই সন্তানটিকেই অভিযুক্ত নার্স চুরি করে এনে বিক্রি করেছিলেন। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত নারী ও তার স্বামীকে আটক করে নাটোর জেলা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।
শিশুটির পিতা নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা মহিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান। সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যাকে হারিয়ে পরিবারের সবাই পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছিলেন। সবার দোয়ায় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তার হারানো মানিককে ফিরে পাওয়ায় খুঁশি তিনি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জহুরুল ইসলাম বলেন, মূলত এ অভিযানে নাটোর জেলা পুলিশের টিম কাজ করেছে। এই অভিযানে সহযোগিতা করেছে কুষ্টিয়া পুলিশের সদস্যরাও। নাটোর জেলা পুলিশ মুল অভিযুক্তদের আটক করে নাটোরে নিয়ে গিয়েছে।