ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কেসিসি নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ

শেষ মুহূর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আজ শনিবার মধ্যরাতে শেষ হবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। কেসিসি নির্বাচনে এবার পঁাচজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র তালুদকার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান।

কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষ্যে আজ শনিবার রাত ১২টা থেকে আগামী ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত খুলনা মহানগরী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেও পৃথক গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে ১০ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত খুলনা মহানগরী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল করবে না। এছাড়া ১১ জুন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা নগরীতে ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ থাকবে।
চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় পাঁচ মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সকাল সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর রায়ের মহল বাজার থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ শুরু করেন। দীর্ঘ আড়াইঘন্টা নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে তিনি এ এলাকায় প্রচারণা চালান। সকাল ১০টা থেকে তিনি নগরীর শেখপাড়া বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। দুপুরে বায়তুন নূর জামে মসজিদে তিনি জুম্মার নামাজ আদায় করেন। বিকাল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নগরীর চানমারী বাজার, বান্দা বাজারসহ ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আগামী ১২ জুন ভোটকেন্দ্রে এসে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানান।

প্রচারণায় পিছিয়ে ছিলেন না জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু। তিনি গতকাল সকাল ১০টায় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, কেডিএ এভিনিউ ও লবণচরা এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল সকালে হাতপাখা মার্কায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন নগরীর গল্লামারী, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বান্দা বাজার, হঠাৎ বাজার, জোড়াকল বাজার এবং বিকালে গণসংযোগ করেন নতুন রাস্তার মোড়, নয়াবাটি, আলমনগর, হাউজিং এলাকা।

এছাড়া জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক গণসংযোগ করেছেন। নির্বাচনে মেয়র পরিবর্তনের জন্য দুজনই ভোটারদের আহ্বান জানান। বলেন, বিজয়ী হতে পারলে খুলনা শহরকে নতুর ভাবে সাজাবেন। এছাড়া ভোটের মাধে রয়েছেন ১৭৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত করেছেন প্রচার-প্রারণা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুলশান-বনানীর ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

কেসিসি নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ

শেষ মুহূর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা

আপডেট সময় ১১:৫৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আজ শনিবার মধ্যরাতে শেষ হবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। কেসিসি নির্বাচনে এবার পঁাচজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র তালুদকার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান।

কেসিসি নির্বাচন উপলক্ষ্যে আজ শনিবার রাত ১২টা থেকে আগামী ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত খুলনা মহানগরী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেও পৃথক গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করতে ১০ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত খুলনা মহানগরী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল করবে না। এছাড়া ১১ জুন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা নগরীতে ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ থাকবে।
চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় পাঁচ মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সকাল সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর রায়ের মহল বাজার থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ শুরু করেন। দীর্ঘ আড়াইঘন্টা নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে তিনি এ এলাকায় প্রচারণা চালান। সকাল ১০টা থেকে তিনি নগরীর শেখপাড়া বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। দুপুরে বায়তুন নূর জামে মসজিদে তিনি জুম্মার নামাজ আদায় করেন। বিকাল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নগরীর চানমারী বাজার, বান্দা বাজারসহ ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আগামী ১২ জুন ভোটকেন্দ্রে এসে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানান।

প্রচারণায় পিছিয়ে ছিলেন না জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু। তিনি গতকাল সকাল ১০টায় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, কেডিএ এভিনিউ ও লবণচরা এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল সকালে হাতপাখা মার্কায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন নগরীর গল্লামারী, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বান্দা বাজার, হঠাৎ বাজার, জোড়াকল বাজার এবং বিকালে গণসংযোগ করেন নতুন রাস্তার মোড়, নয়াবাটি, আলমনগর, হাউজিং এলাকা।

এছাড়া জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক গণসংযোগ করেছেন। নির্বাচনে মেয়র পরিবর্তনের জন্য দুজনই ভোটারদের আহ্বান জানান। বলেন, বিজয়ী হতে পারলে খুলনা শহরকে নতুর ভাবে সাজাবেন। এছাড়া ভোটের মাধে রয়েছেন ১৭৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত করেছেন প্রচার-প্রারণা।