ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আলাউদ্দিন তালুকদার বেনু মিয়ার সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক

১৯৬৬ ইং এর ৬ দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭০ এর নির্বাচন, ৭১’ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা, ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধ করার কারনে তাঁর নিজ বসত বাড়িটি পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ও সহযোগী রাজাকার আলবদররা পুড়িয়ে দিয়েছিল।

১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্টের কালো রাত্রিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার প্রতিবাদ করায় দীর্ঘদিন তিনি পরিবার নিয়ে আত্বগোপনে ছিলেন। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে ১৯৮০ সালে প্রথম ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। টানা তিনবার চেয়ারম্যান ছিলেন তখনো থেমে থাকেনি ষড়যন্ত্র বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা, বাড়ী ঘর লুটপাট করে ও ধমাতে পারেনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিককে।

১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে মাধবপুর চুনারুঘাটে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারনা করার অপরাধে উনার বাড়ীঘরে আক্রমণ করে ভাংচুর করা হয়েছিল। এছাড়াও এরশাদ আমলে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির পক্ষে কাজ করায় আবারো বাড়ীঘর ভাংচুর করা হয়।

১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন সর্বার্গে। ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আবারো বেড়ে যায় তার উপর নির্যাতনের মাত্রা। যার ফলে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার অপরাধে মাধবপুর উপজেলা সদরে যেতে হয়েছে চুনারুঘাট উপজেলা ঘুরে।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে অপারেশন ক্লিন হার্টের সময়কালে দীর্ঘ ৩ মাস বসতবাড়ী ছেড়ে স্ব-পরিবারে আত্বগোপনে থাকতে হয়েছিল তার। তারপরে বিভিন্ন মামলার আসামী হয়ে ও ফেরারী ছিলেন তিনি।

২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরু হয়। ২০০৯ সালে মানবতা বিরুধীদের বিপক্ষে থাকার কারনে উনার বাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন চালায়। এসময় রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার সায়েম নামে উনার মেঝো ছেলে শরীরে ধারালো অস্ত্রের ২১টিকুপ নিয়ে ও বাবাকে রক্ষা করেন। সেদিন ছিল তাদের জন্য কালো রাতের আরেক অধ্যায়। আজ ও সেই ক্ষত-শরীর নিয়ে শারীরিকভাবে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন সেই বাবার সেই ছেলেটি। এই রকমভাবে আরো বহুবার উনাকে হত্যার জন্য আক্রমণ করা হয়।

তিনি জীবনের শেষ ইউনিয়ন নির্বাচন করতে গেলে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা উনাকে মনোনীত করে দলীয় প্রতিক নৌকা মার্কা দেন নির্বাচন করার জন্য। কিন্ত আওয়ামী মুখোশধারীরা দল ও দলীয় প্রার্থীর সাথে বেঈমানি করার কারনে শেষ বয়সে ও পরাজিত হন তিনি।

সেই সময়ে অনেক নব্য আওয়ামীলীগ কথিত নেতাকর্মীদের অনেক কঠু মন্তব্য শুনতে হয়েছে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের। যা আজ ও এই পরিবারের সদস্যদের মনে দাগ কাটে। এতকিছুর পর ও তিনি দলের পাশেই রয়েছেন বলে ও তথ্য পাওয়া যায়।

যাই হউক সবকিছুর পর গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

আর তারই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সফল সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরীর সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাধবপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে বর্তমান মাধবপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি, বাঘাসুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, ডাঃ মহিউদ্দিন হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আলাউদ্দিন তালুকদার বেনু মিয়াকে কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মনোনীত করেছেন।

এভাবে সারা দেশে দলের ত্যাগী নেতাদের খুঁজছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা দলের দুঃসময়ে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন, দলের পোড় খাওয়া নেতাকর্মী; কিন্তু দলীয় কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেননি এমন দলীয় নেতাদের রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুলশান-বনানীর ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আলাউদ্দিন তালুকদার বেনু মিয়ার সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক

আপডেট সময় ১১:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

১৯৬৬ ইং এর ৬ দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭০ এর নির্বাচন, ৭১’ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা, ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় মুক্তিযুদ্ধ করার কারনে তাঁর নিজ বসত বাড়িটি পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী ও সহযোগী রাজাকার আলবদররা পুড়িয়ে দিয়েছিল।

১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্টের কালো রাত্রিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার প্রতিবাদ করায় দীর্ঘদিন তিনি পরিবার নিয়ে আত্বগোপনে ছিলেন। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে ১৯৮০ সালে প্রথম ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। টানা তিনবার চেয়ারম্যান ছিলেন তখনো থেমে থাকেনি ষড়যন্ত্র বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা, বাড়ী ঘর লুটপাট করে ও ধমাতে পারেনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিককে।

১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে মাধবপুর চুনারুঘাটে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারনা করার অপরাধে উনার বাড়ীঘরে আক্রমণ করে ভাংচুর করা হয়েছিল। এছাড়াও এরশাদ আমলে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির পক্ষে কাজ করায় আবারো বাড়ীঘর ভাংচুর করা হয়।

১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন সর্বার্গে। ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আবারো বেড়ে যায় তার উপর নির্যাতনের মাত্রা। যার ফলে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার অপরাধে মাধবপুর উপজেলা সদরে যেতে হয়েছে চুনারুঘাট উপজেলা ঘুরে।

২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে অপারেশন ক্লিন হার্টের সময়কালে দীর্ঘ ৩ মাস বসতবাড়ী ছেড়ে স্ব-পরিবারে আত্বগোপনে থাকতে হয়েছিল তার। তারপরে বিভিন্ন মামলার আসামী হয়ে ও ফেরারী ছিলেন তিনি।

২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরু হয়। ২০০৯ সালে মানবতা বিরুধীদের বিপক্ষে থাকার কারনে উনার বাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন চালায়। এসময় রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার সায়েম নামে উনার মেঝো ছেলে শরীরে ধারালো অস্ত্রের ২১টিকুপ নিয়ে ও বাবাকে রক্ষা করেন। সেদিন ছিল তাদের জন্য কালো রাতের আরেক অধ্যায়। আজ ও সেই ক্ষত-শরীর নিয়ে শারীরিকভাবে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন সেই বাবার সেই ছেলেটি। এই রকমভাবে আরো বহুবার উনাকে হত্যার জন্য আক্রমণ করা হয়।

তিনি জীবনের শেষ ইউনিয়ন নির্বাচন করতে গেলে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা উনাকে মনোনীত করে দলীয় প্রতিক নৌকা মার্কা দেন নির্বাচন করার জন্য। কিন্ত আওয়ামী মুখোশধারীরা দল ও দলীয় প্রার্থীর সাথে বেঈমানি করার কারনে শেষ বয়সে ও পরাজিত হন তিনি।

সেই সময়ে অনেক নব্য আওয়ামীলীগ কথিত নেতাকর্মীদের অনেক কঠু মন্তব্য শুনতে হয়েছে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের। যা আজ ও এই পরিবারের সদস্যদের মনে দাগ কাটে। এতকিছুর পর ও তিনি দলের পাশেই রয়েছেন বলে ও তথ্য পাওয়া যায়।

যাই হউক সবকিছুর পর গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

আর তারই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সফল সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরীর সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাধবপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে বর্তমান মাধবপুর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি, বাঘাসুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, ডাঃ মহিউদ্দিন হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আলাউদ্দিন তালুকদার বেনু মিয়াকে কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মনোনীত করেছেন।

এভাবে সারা দেশে দলের ত্যাগী নেতাদের খুঁজছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা দলের দুঃসময়ে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন, দলের পোড় খাওয়া নেতাকর্মী; কিন্তু দলীয় কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেননি এমন দলীয় নেতাদের রাজনৈতিকভাবে মূল্যায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।