ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এবার অত্যাধুনিক বাস নির্মাণ করে চমকে দিল আফগানিস্তান পটুয়াখালীতে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন যোদ্ধাদের নতুন প্রধানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল ফিলিস্তিনিরা স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীরা মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান মুরাদনগরের জোরপূর্বক হিন্দু পরিবারের রাস্তা দখলের পায়তারা আল্লাহর আনুগত্যের জন্য রাসূল(স.)এর আনুগত্য করতে হবে প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মোসলেহ তজুমউদ্দিনে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ১ সাকিবের বিকল্প খুঁজে নিলো বাংলাদেশ যেভাবে দেশ-বিদেশে ৫৮০ বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান রিফাত মহিউদ্দিন খান রিফাত শরীয়তপুরের জাজিরায় কালবেলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন

হত্যা মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

রংপুরের কাউনিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোনা মিয়া (৫৫) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৫ জুন) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পরিদর্শক মীর আতাহার আলী।

আতাহার আলী দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি প্রতিনিধিকে বলেন, সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি আব্দুর রাজ্জাক গত ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদন না মঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের খানসামা হাট এলাকার ইমামগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির আগমন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নিলে সোনা মিয়া নিহত হন।

সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারী গ্ৰামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য।

এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল দুপুরে সোনা মিয়ার বড় ছেলে আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে কাউনিয়া থানায়  হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার অত্যাধুনিক বাস নির্মাণ করে চমকে দিল আফগানিস্তান

হত্যা মামলায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

আপডেট সময় ০৫:৪০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

রংপুরের কাউনিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোনা মিয়া (৫৫) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৫ জুন) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পরিদর্শক মীর আতাহার আলী।

আতাহার আলী দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি প্রতিনিধিকে বলেন, সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি আব্দুর রাজ্জাক গত ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদন না মঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের খানসামা হাট এলাকার ইমামগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির আগমন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নিলে সোনা মিয়া নিহত হন।

সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারী গ্ৰামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য।

এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল দুপুরে সোনা মিয়ার বড় ছেলে আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে কাউনিয়া থানায়  হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়।