মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রামগঞ্জের কৃতি সন্তান। তিনি ১৯৭০ ইং সালে ৪ নং ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে কাজিমুদ্দিন বেপারী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাহার পিতা মোহাম্মদ বদিউরজ্জামান। তার পিতা ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৭ ইং সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ আর্মিতে কর্মরত ছিলেন। তার পিতা কিছুকাল পাকিস্তান পুলিশ পরবর্তীতে ১৯৭১ ইং সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ১৯৮৫ ইং সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৮৫ ইং সালে শ্রীরামপুর হাই স্কুল থেকে এসএসসি (SSC) এবং রামগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে বি এ (BA) পাস করেন। তিনি পরবর্তীতে ঢাকা সেন্ট্রাল ল কলেজে ভর্তি হন।
১৯৮৯/৯০ ইং সেসনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ড্রিগ্রী সম্পন্ন করেন। ২০১০ ইং সালে আশা বিশ্ববিদ্যালয় শ্যামলী হতে এল এল এম ড্রিগ্রী সম্পন্ন করেন। এরপর ওকালতি পেশায় নিযুক্ত হন।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ২০০২/২০০৩ ইং ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০৫ ইং সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য ২০০৬ ইং সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডাঃ ইয়াজউদ্দিন আহমেদ যখন সংবিধান লঙ্ঘন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের হয় উহাকে কেন্দ্র করে ৩০-১১-২০০৬ ইং সুপ্রিম কোর্টে ব্যাপক গোলযোগ সংগঠিত হয় তখন তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনজীবীদের দিকপাল ডঃ কামাল হোসেন ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম সহ অনেক বিজ্ঞ আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তার মধ্যে উত্ত মামলায় অন্যতম চার্জশিট ভুক্ত আসামি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ছিলেন। জিন্নাহ ২০০৯ ইং থেকে ২০১৯ ইং সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি আহবায়ক শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীর মহামিলন মেলা পরিষদ।
অত্যন্ত আবেগময় হাস্যজ্জল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভালোই আছেন। সাক্ষাতে অনেক কথা হলো কিছু জানা হলো।