ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

নাগালের বাইরেই মুরগি ও গরুর মাংস

গত কয়েকসপ্তাহ ধরেই বাজারে মুরগির দাম চড়া। মাঝে মধ্যে ১০ থেকে ১৫ টাকা ওঠানামা করছে। আর গরুর মাংসের দাম অস্থিতিশীল। তাই এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই রয়েছে গরুর মাংস ও মুরগির দাম। 

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার নারিন্দা কাঁচাবাজার, রায় সাহেব বাজার ও নয়া বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৯০ টাকা বিক্রি হতো যা ১০ টাকা কমে এ সপ্তাহে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বেড়েছে সোনালী ও লেয়ার মুরগির দাম। সোনালি ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে লেয়ার ২৮০ টাকা, সোনালী ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হতো।

এছাড়া দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাটা মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। গরু ও খাসির মাংসের দাম গত কয়েকমাসের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।

রায় সাহেব বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সেলিম রেজা  বলেন, মুরগির বাড়তি দাম অনেক দিন ধরে একই অবস্থায় আছে। দেখা যায় একসপ্তাহ ১০ টাকা কমে আবার পরের সপ্তাহে বেড়ে আগের মতো সমান হয়ে যায়। অন্যান্য মাংসের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে মুরগির মাংসের চাহিদা কমেনি। এছাড়া বাজারে চাহিদার তুলনায় মুরগির সরবরাহ অনেক কম। যে কারণে দাম বাড়ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব জিনিসের দাম বেশি। মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। এছাড়া বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ সমস্যায় বাচ্চা ফুটানো সমস্যা হচ্ছে তাই খামার থেকেই উৎপাদন কমে গেছে। আর বাচ্চার দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়েছেন।

মুরগি কিনতে আসা সালাম শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরুর মাংসের যেই দাম তা তো আর কিনে খেতে পারি না। ব্রয়লার মুরগি খাবো তার দামও অনেক। ১২০ টাকার ব্রয়লার ২ থেকে ৩ মাস ধরে প্রায় ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম যে সেই রমজানে বেড়েছে আর কমেনি। আর মাছের বাজারেও আগুন। তাই শাকসবজি খেয়েই দিন পার করছি।

বেসরকারি চাকরিজীবী আবদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতি সপ্তাহে তো গরুর মাংস খেতে পারি না। মাসে এক দুইবার কিনি গরুর মাংস। কয়েক মাস ধরে দাম কমেছেও না বাড়ছেও না। সিন্ডিকেট করে এ অবস্থা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারছে জনগণের পকেট কাটছে। চাকরি করে যে বেতন পাই তা দিয়ে আর জীবন চলে না। সবকিছুর দাম বেড়েছে, বাড়েনি মানুষের আয়। বেঁচে থাকাই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে।

আইবি/এমএ

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

নাগালের বাইরেই মুরগি ও গরুর মাংস

আপডেট সময় ০৪:০০:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

গত কয়েকসপ্তাহ ধরেই বাজারে মুরগির দাম চড়া। মাঝে মধ্যে ১০ থেকে ১৫ টাকা ওঠানামা করছে। আর গরুর মাংসের দাম অস্থিতিশীল। তাই এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই রয়েছে গরুর মাংস ও মুরগির দাম। 

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার নারিন্দা কাঁচাবাজার, রায় সাহেব বাজার ও নয়া বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৯০ টাকা বিক্রি হতো যা ১০ টাকা কমে এ সপ্তাহে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বেড়েছে সোনালী ও লেয়ার মুরগির দাম। সোনালি ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে লেয়ার ২৮০ টাকা, সোনালী ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হতো।

এছাড়া দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাটা মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। গরু ও খাসির মাংসের দাম গত কয়েকমাসের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।

রায় সাহেব বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সেলিম রেজা  বলেন, মুরগির বাড়তি দাম অনেক দিন ধরে একই অবস্থায় আছে। দেখা যায় একসপ্তাহ ১০ টাকা কমে আবার পরের সপ্তাহে বেড়ে আগের মতো সমান হয়ে যায়। অন্যান্য মাংসের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে মুরগির মাংসের চাহিদা কমেনি। এছাড়া বাজারে চাহিদার তুলনায় মুরগির সরবরাহ অনেক কম। যে কারণে দাম বাড়ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব জিনিসের দাম বেশি। মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। এছাড়া বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ সমস্যায় বাচ্চা ফুটানো সমস্যা হচ্ছে তাই খামার থেকেই উৎপাদন কমে গেছে। আর বাচ্চার দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়েছেন।

মুরগি কিনতে আসা সালাম শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরুর মাংসের যেই দাম তা তো আর কিনে খেতে পারি না। ব্রয়লার মুরগি খাবো তার দামও অনেক। ১২০ টাকার ব্রয়লার ২ থেকে ৩ মাস ধরে প্রায় ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম যে সেই রমজানে বেড়েছে আর কমেনি। আর মাছের বাজারেও আগুন। তাই শাকসবজি খেয়েই দিন পার করছি।

বেসরকারি চাকরিজীবী আবদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতি সপ্তাহে তো গরুর মাংস খেতে পারি না। মাসে এক দুইবার কিনি গরুর মাংস। কয়েক মাস ধরে দাম কমেছেও না বাড়ছেও না। সিন্ডিকেট করে এ অবস্থা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারছে জনগণের পকেট কাটছে। চাকরি করে যে বেতন পাই তা দিয়ে আর জীবন চলে না। সবকিছুর দাম বেড়েছে, বাড়েনি মানুষের আয়। বেঁচে থাকাই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে।

আইবি/এমএ