ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল

সমুদ্রে ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে হয়রানি করছে চীন

তাইওয়ান, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও গুপ্তচরবৃত্তিসহ নানা ইস্যুতে চীনের সঙ্গে পশ্চিমাদের উত্তেজনা লেগেই রয়েছে। আবার বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের আশপাশের দেশসহ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেইজিংয়ের বৈরিতাও কম নয়। আর এর মধ্যেই সমুদ্রে ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে।

আর এই অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সংকটে ফিলিপাইনের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছে বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটি। রোববার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শনিবার চীনকে দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার এই সময়ে ফিলিপাইনের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশটি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বেইজিংকে তার উস্কানিমূলক ও অনিরাপদ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এর আগে গত শুক্রবার চীনের কোস্টগার্ডকে ‘আক্রমণাত্মক কৌশল’ অবলম্বনের জন্য অভিযুক্ত করে ফিলিপাইন। মূলত ফিলিপাইন-নিয়ন্ত্রিত সেকেন্ড থমাস শোলের কাছে ফিলিপিনো কোস্ট গার্ডের টহল চলাকালীন এক ঘটনার পরে ওই এই অভিযোগ সামনে আসে।

রয়টার্স বলছে, চীন প্রায় সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে থাকে। মূলত ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ দিয়ে চীন এই সাগরের ৮০ শতাংশের মালিকানা দাবি করে থাকে। যদিও চীনের এই দাবি তার মূল ভূখণ্ড থেকে ১৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি প্রসারিত এবং ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও ইন্দোনেশিয়ার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে বিভক্ত।

তবে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেইজিংয়ের এই দাবি ২০১৬ সালে খারিজ করে দিয়েছে হেগের পারমানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন (পিসিএ)। পিসিএ বলেছে, চীনের ১৯৪০ সালের ‘নাইন ড্যাশ লাইন’-এর আইনি কোনও ভিত্তি নেই।

তবে গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিপাইনের জাহাজগুলো চীনা জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে এবং ইচ্ছাকৃত উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।

এর বিপরীতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ওয়াশিংটন ‘নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আদেশ সমুন্নত রাখতে আমাদের ফিলিপাইনের মিত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সমুদ্রে ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে হয়রানি করছে চীন

আপডেট সময় ০১:০৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

তাইওয়ান, বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও গুপ্তচরবৃত্তিসহ নানা ইস্যুতে চীনের সঙ্গে পশ্চিমাদের উত্তেজনা লেগেই রয়েছে। আবার বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের আশপাশের দেশসহ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেইজিংয়ের বৈরিতাও কম নয়। আর এর মধ্যেই সমুদ্রে ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে।

আর এই অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সংকটে ফিলিপাইনের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছে বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটি। রোববার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শনিবার চীনকে দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার এই সময়ে ফিলিপাইনের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশটি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বেইজিংকে তার উস্কানিমূলক ও অনিরাপদ আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এর আগে গত শুক্রবার চীনের কোস্টগার্ডকে ‘আক্রমণাত্মক কৌশল’ অবলম্বনের জন্য অভিযুক্ত করে ফিলিপাইন। মূলত ফিলিপাইন-নিয়ন্ত্রিত সেকেন্ড থমাস শোলের কাছে ফিলিপিনো কোস্ট গার্ডের টহল চলাকালীন এক ঘটনার পরে ওই এই অভিযোগ সামনে আসে।

রয়টার্স বলছে, চীন প্রায় সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে থাকে। মূলত ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ দিয়ে চীন এই সাগরের ৮০ শতাংশের মালিকানা দাবি করে থাকে। যদিও চীনের এই দাবি তার মূল ভূখণ্ড থেকে ১৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি প্রসারিত এবং ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও ইন্দোনেশিয়ার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে বিভক্ত।

তবে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বেইজিংয়ের এই দাবি ২০১৬ সালে খারিজ করে দিয়েছে হেগের পারমানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন (পিসিএ)। পিসিএ বলেছে, চীনের ১৯৪০ সালের ‘নাইন ড্যাশ লাইন’-এর আইনি কোনও ভিত্তি নেই।

তবে গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিপাইনের জাহাজগুলো চীনা জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে এবং ইচ্ছাকৃত উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।

এর বিপরীতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ওয়াশিংটন ‘নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আদেশ সমুন্নত রাখতে আমাদের ফিলিপাইনের মিত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’