চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সময়ে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটির’ কর্মকর্তাদের বিচারিক কাজ মূল্যায়নের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে ইসি জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত চট্টগ্রাম-৮ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনের নিমিত্ত নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর বিধি ২(৬) এ সংজ্ঞায়িত নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফল সরকারি গেজেট প্রকাশের আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কর্তকর্তাদেরকে সার্বক্ষণিকভাবে এই নির্বাচনের তদন্ত কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তাদের পক্ষে গেজেটে এই সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক মোকাদ্দমা নিষ্পত্তি করা সম্ভব নাও হতে পারে।
চিঠিতে ইসি আরও জানায়, চট্টগ্রাম-৮ আসনের ভোটে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিচারিক কাজ হিসেবে মূল্যায়ন করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ইসি জানায়, নির্বাচন কমিশন দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ (পিও নং ১৫৫, ১৯৭২) এর ধারা ১১ (১) এর ক্ষমতাবলে শূন্য ঘোষিত জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ এপ্রিল ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ (পিও নং ১৫৫, ১৯৭২) এর ধারা ৯১এ অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সাধারণ আসনে সদস্য পদে নির্বাচনে অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠনের বিধান রয়েছে। শূন্য ঘোষিত আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন উপলক্ষ্যে অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একজন যুগ্ম জেলা জজ ও একজন সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজের সমন্বয়ে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।