ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘৬ কোটি টাকার মালামাল, ২০ হাজারও বের করতে পারিনি’

বঙ্গবাজার এবং এর আশপাশের মার্কেটে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে কিছু মালামাল বের করতে পারলেও বেশিরভাগই আগুনে নষ্ট হয়েছে। বঙ্গবাজার মার্কেটে ‘মায়ের দোয়া’ নামেই ছয়টি দোকান মোহাম্মদ হেলাল খানের। তার দাবি, দোকানে ৬ কোটি টাকারও বেশি মালামাল ছিল।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

হেলাল খান বলেন, মার্কেটে আমাদের ৬টি দোকান, কোনোরকমে একটি দোকানের মালামাল বের করতে পেরেছি। গোডাউনের মালামালও বের করতে পারিনি। কিছু পুড়েছে, বাকি সব পানিতে নষ্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দোকানে ৬ কোটি টাকারও বেশি মালামাল ছিল। ঈদ উপলক্ষ্যে গতকালই আমি ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার মাল তুলেছি। সবই আমার নষ্ট হয়েছে। ২০ হাজার টাকার মতো হয়তো মালামাল বের করতে পেরেছি।

ক্ষতির শিকার এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আমিসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী পথে বসে গেছে। সরকার যদি আমাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। মালামালের তুলনায় বলতে গেলে আমরা কিছুই বের করতে পারিনি।  এই অবস্থায় সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে কোনোরকম উঠে দাঁড়াতে পারবো। নয়তো আমাদের মরণ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘৬ কোটি টাকার মালামাল, ২০ হাজারও বের করতে পারিনি’

আপডেট সময় ১২:৫১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

বঙ্গবাজার এবং এর আশপাশের মার্কেটে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে কিছু মালামাল বের করতে পারলেও বেশিরভাগই আগুনে নষ্ট হয়েছে। বঙ্গবাজার মার্কেটে ‘মায়ের দোয়া’ নামেই ছয়টি দোকান মোহাম্মদ হেলাল খানের। তার দাবি, দোকানে ৬ কোটি টাকারও বেশি মালামাল ছিল।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

হেলাল খান বলেন, মার্কেটে আমাদের ৬টি দোকান, কোনোরকমে একটি দোকানের মালামাল বের করতে পেরেছি। গোডাউনের মালামালও বের করতে পারিনি। কিছু পুড়েছে, বাকি সব পানিতে নষ্ট হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দোকানে ৬ কোটি টাকারও বেশি মালামাল ছিল। ঈদ উপলক্ষ্যে গতকালই আমি ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার মাল তুলেছি। সবই আমার নষ্ট হয়েছে। ২০ হাজার টাকার মতো হয়তো মালামাল বের করতে পেরেছি।

ক্ষতির শিকার এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আমিসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী পথে বসে গেছে। সরকার যদি আমাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। মালামালের তুলনায় বলতে গেলে আমরা কিছুই বের করতে পারিনি।  এই অবস্থায় সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে কোনোরকম উঠে দাঁড়াতে পারবো। নয়তো আমাদের মরণ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।