ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

প্রধানমন্ত্রী বরাবর নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার স্বারকলিপি প্রদান

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিধিমালা চূড়ান্ত করে ও তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা উপজেলা শাখা।

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে একযোগে সারাদেশে কেন্দ্রীয় ও শাখা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়ে সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নিসচা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও বড়লেখা উপজেলা সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন, সহ সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক রমা কান্ত দাস সহ প্রমুখ। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়,২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণীত হয়। সে সময় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এখনো আইনটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ দীর্ঘ চার বছর অতিক্রান্ত হলেও আইনটির বিধিমালা এখনো প্রণীত হয়নি। যার ফলে মূলত আইনটি অর্কাযর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ কেউই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছেন না।

এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার জন্য জাতিসংঘ পাঁচটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এই পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গতি, হেলমেট, সিটবেল্ট, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালনা ও শিশু আসন। এই পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে হলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য।

এছাড়া সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি প্রয়োগে বিআরটির কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ করে ট্রাফিক বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্টদের উপযুক্ত ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা, চালক, মালিক পথচারী ও যাত্রীদের আইন সম্পর্কে জানাতে প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ও সড়ক ব্যবহারকারীর সকলকেই নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে বিশেষ কর্মশালার গুরুত্ব রয়েছে। এই বিষয়গুলো সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার দাবি জানানো হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার।

প্রধানমন্ত্রী বরাবর নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার স্বারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় ১১:৩৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিধিমালা চূড়ান্ত করে ও তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বড়লেখা উপজেলা শাখা।

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে একযোগে সারাদেশে কেন্দ্রীয় ও শাখা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়ে সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নিসচা বড়লেখা উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নিসচা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও বড়লেখা উপজেলা সভাপতি তাহমীদ ইশাদ রিপন, সহ সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, দুর্ঘটনা ও অনুসন্ধান বিষয়ক সম্পাদক রমা কান্ত দাস সহ প্রমুখ। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়,২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণীত হয়। সে সময় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এখনো আইনটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ দীর্ঘ চার বছর অতিক্রান্ত হলেও আইনটির বিধিমালা এখনো প্রণীত হয়নি। যার ফলে মূলত আইনটি অর্কাযর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ কেউই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছেন না।

এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার জন্য জাতিসংঘ পাঁচটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এই পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গতি, হেলমেট, সিটবেল্ট, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালনা ও শিশু আসন। এই পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে হলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য।

এছাড়া সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি প্রয়োগে বিআরটির কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ করে ট্রাফিক বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্টদের উপযুক্ত ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা, চালক, মালিক পথচারী ও যাত্রীদের আইন সম্পর্কে জানাতে প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ও সড়ক ব্যবহারকারীর সকলকেই নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে বিশেষ কর্মশালার গুরুত্ব রয়েছে। এই বিষয়গুলো সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার দাবি জানানো হয়।