ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ দেশীয় সিগারেট শিল্প বৈষম্যের শিকার জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান ‘নিত্যপণ্যে ভ্যাট বসিয়ে ফ্যাসিস্টের রাস্তায় হাঁটছে সরকার’ বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে বদরগঞ্জ পৌরসভার ঠিকাদারী কাজের টেন্ডার স্থগিত বদরগঞ্জে একতা ইটভাটার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা

নদীতে খাঁচায় মাছ চাষে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন হানিফ তালুকদার

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে চাষিরা। এলাকায় মাছের চাষের নতুন এই পদ্ধতি দেখে স্থানীয় বেকার যুবক ও ভূমিহীন মৎস্যজীবীরা এই নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

দাউদকান্দি উপজেলার সৈয়দখার কান্দিতে ধনাগোধা নদীতে ৪০টি খাঁচায় মাছ চাষ করেছেন মোঃ হানিফ তালুকদার। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দখার কান্দি,গোয়ালমারী,চেঙ্গাকান্দি,ফতেরকান্দি গ্রামের মৎস্যজীবীদেরকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

পরে নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্থানীয় লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করতে ২০ জন করে দল গঠন করে দেওয়া হয়। ২০জন চাষীদের নিয়ে ১০টি খাঁচায় মাছ চাষের জন্য ১টি দল গঠন করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুই লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। ওইসব খাঁচাতে ‘মনোসেক্স’ জাতের তেলাপিয়া মাছের পোনা,পাঙ্গাস,গ্লাসকার্প মাছ ছাড়া হয়। পরবর্তী সময়ে খাঁচায় নদীতে মাছ চাষের নতুন পদ্ধতি লাভবান হয়ে তারা ব্যাক্তিগতভাবে খাচার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তাদের দেখাদেখী বেকার যুবকরা নিজস্ব উদ্যোগে নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করতে শুরু করে।

পোনা ছাড়ার দুই-তিন মাস পর মাছের ওজন ও মাছে কোনো রোগ-বালাই দেখা না দেওয়ায় প্রতিটি খাঁচায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভের আশা করছে চাষিরা। দাউদকান্দিতে খাঁচায় মাছ চাষ করছেন উপজেলার সৈয়দখার কান্দিতে ধনাগোধা নদীতে ৪০টি খাঁচায় মাছ চাষ করেছেন মোঃ হানিফ তালুকদার। তিনি জানান, বিদেশ থেকে দেশে ফিরে বেকার হয়ে পড়ি,কর্মসংস্থানের উদ্দ্যেশ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিসে যাই পরামর্শের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের জন্য ২০ জনের একটি দল গঠন করার পরামর্শ দেন। দল গঠন করার পর তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর প্রথমে ১০টি খাঁচা তৈরি ও মাছের পোনা ছাড়ার জন্য দুই লাখ টাকা সরকারি অনুদানও দেওয়া হয়।

অনুদানের টাকায় ড্রাম, নেট ও বাঁশ দিয়ে সৈয়দখার কান্দিতে ধনাগোধা নদের উপর ১০টি খাঁচা তৈরি করি। মাষ চাষে সফলতা দেখে পরবর্তীতে আরো ১০টি খাঁচা দেয়া হলে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে ২০টি খাঁচা তৈরি করে মোট ৪০টি খাঁচায় এখন মাছ চাষ করছি। ১মাস পড় মাছ বিক্রি করবো। ৪০টি খাচায় আমার প্রায় মাছ,খাবার ও অন্যান্য ব্যায় হিসেবে ১৪লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশাবাদী মাছ বিক্রির পর ভালো মুনাফা অর্জন হবে।

বাজারে এই মাছের অনেক চাহিদা। হানিফ তালুকদার আরো বলেন, ‘স্বল্প পুঁজি নিয়েই এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। ২০ বাই ১০ ফিটের প্রতিটি খাঁচা তৈরি করতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর টাকা খরচ হবে মাছের পোনা ও মাছের খাবার বাবদ। এর জন্য নিজস্ব কোনো জলাভূমির প্রয়োজন নেই। যে কেউ এই পদ্ধতি নদীতে মাছ চাষ করতে পারেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন

নদীতে খাঁচায় মাছ চাষে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন হানিফ তালুকদার

আপডেট সময় ০৩:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে চাষিরা। এলাকায় মাছের চাষের নতুন এই পদ্ধতি দেখে স্থানীয় বেকার যুবক ও ভূমিহীন মৎস্যজীবীরা এই নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

দাউদকান্দি উপজেলার সৈয়দখার কান্দিতে ধনাগোধা নদীতে ৪০টি খাঁচায় মাছ চাষ করেছেন মোঃ হানিফ তালুকদার। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দখার কান্দি,গোয়ালমারী,চেঙ্গাকান্দি,ফতেরকান্দি গ্রামের মৎস্যজীবীদেরকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

পরে নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষে স্থানীয় লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করতে ২০ জন করে দল গঠন করে দেওয়া হয়। ২০জন চাষীদের নিয়ে ১০টি খাঁচায় মাছ চাষের জন্য ১টি দল গঠন করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দুই লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। ওইসব খাঁচাতে ‘মনোসেক্স’ জাতের তেলাপিয়া মাছের পোনা,পাঙ্গাস,গ্লাসকার্প মাছ ছাড়া হয়। পরবর্তী সময়ে খাঁচায় নদীতে মাছ চাষের নতুন পদ্ধতি লাভবান হয়ে তারা ব্যাক্তিগতভাবে খাচার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তাদের দেখাদেখী বেকার যুবকরা নিজস্ব উদ্যোগে নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করতে শুরু করে।

পোনা ছাড়ার দুই-তিন মাস পর মাছের ওজন ও মাছে কোনো রোগ-বালাই দেখা না দেওয়ায় প্রতিটি খাঁচায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভের আশা করছে চাষিরা। দাউদকান্দিতে খাঁচায় মাছ চাষ করছেন উপজেলার সৈয়দখার কান্দিতে ধনাগোধা নদীতে ৪০টি খাঁচায় মাছ চাষ করেছেন মোঃ হানিফ তালুকদার। তিনি জানান, বিদেশ থেকে দেশে ফিরে বেকার হয়ে পড়ি,কর্মসংস্থানের উদ্দ্যেশ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিসে যাই পরামর্শের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের জন্য ২০ জনের একটি দল গঠন করার পরামর্শ দেন। দল গঠন করার পর তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর প্রথমে ১০টি খাঁচা তৈরি ও মাছের পোনা ছাড়ার জন্য দুই লাখ টাকা সরকারি অনুদানও দেওয়া হয়।

অনুদানের টাকায় ড্রাম, নেট ও বাঁশ দিয়ে সৈয়দখার কান্দিতে ধনাগোধা নদের উপর ১০টি খাঁচা তৈরি করি। মাষ চাষে সফলতা দেখে পরবর্তীতে আরো ১০টি খাঁচা দেয়া হলে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে ২০টি খাঁচা তৈরি করে মোট ৪০টি খাঁচায় এখন মাছ চাষ করছি। ১মাস পড় মাছ বিক্রি করবো। ৪০টি খাচায় আমার প্রায় মাছ,খাবার ও অন্যান্য ব্যায় হিসেবে ১৪লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশাবাদী মাছ বিক্রির পর ভালো মুনাফা অর্জন হবে।

বাজারে এই মাছের অনেক চাহিদা। হানিফ তালুকদার আরো বলেন, ‘স্বল্প পুঁজি নিয়েই এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। ২০ বাই ১০ ফিটের প্রতিটি খাঁচা তৈরি করতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর টাকা খরচ হবে মাছের পোনা ও মাছের খাবার বাবদ। এর জন্য নিজস্ব কোনো জলাভূমির প্রয়োজন নেই। যে কেউ এই পদ্ধতি নদীতে মাছ চাষ করতে পারেন।