ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল টঙ্গীতে ফের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ উন্নয়নের সফলতা ও উপহার বিতরণ মিঠাপুকুরে কুবিতে পাহাড়ে অস্থিরতা ও মব জাস্টিসের বিরদ্ধে মানববন্ধন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের শ্বশুর ইন্তেকাল সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

ইন্দোনেশিয়ায় বিমানের পাইলটকে জিম্মি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিমানের এক পাইলটকে জিম্মি করেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। এখন ওই পাইলটকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তারা। খবর বিবিসির।

পাপুয়ার পাহাড়ঘেরা অঞ্চল নুগাতে ছোট বিমানটি অবতরণ করার পর সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেন কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী। পাইলট ছাড়া বিমানটিতে শিশুসহ আরও পাঁচ যাত্রী ছিলেন। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদীরা চায় উত্তর পাপুয়াকে যেন আলাদা স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয় ইন্দোনেশিয়ার সরকার।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। কিন্তু সেখানে তারা পৌঁছাতে পারছেন না, কারণ ওই জায়গাটিতে শুধুমাত্র বিমানে যাওয়া যায়।

জানা গেছে পাইলটের নাম ফিলিপ মার্থেনস, যদিও ইন্দোনেশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যে নাম বলেছে সেটি আলাদা।

পাইলটকে জিম্মি করার ঘটনা স্বীকার করেছে ওয়েস্ট পাপুয় ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। এটি ইন্দোনেশিয়ার একটি তালিকাভুক্ত ‘সসস্ত্র জঙ্গি দল’।

দলটির মুখপাত্র, সেবি সামবোন হুমকি দিয়েছেন, যদি ইন্দোনেশিয়ার সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি না হয় তাহলে এই পাইলটকে হত্যা করা হবে।

এদিকে নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ‘জিম্মি ঘটনা’ সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছে তারা এবং জাকার্তায় অবস্থিত কনস্যুলেটের মাধ্যমে পাইলটের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, বিমানটি সুসি এয়ারের। এটি খনিসমৃদ্ধ অঞ্চল তিমিকা থেকে মালামাল নিয়ে পাশের অঞ্চলে যাচ্ছিল।

এদিকে পাপুয়া অঞ্চলটি আগে ডাচ উপনিবেশবাদের অংশ ছিল। এটি পাপুয়া এবং উত্তর পাপুয়া নামে দুটি প্রদেশে বিভক্ত।

১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হওয়া গণভোটের মাধ্যমে পাপুয়া অঞ্চলকে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ

ইন্দোনেশিয়ায় বিমানের পাইলটকে জিম্মি

আপডেট সময় ১২:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিমানের এক পাইলটকে জিম্মি করেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। এখন ওই পাইলটকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তারা। খবর বিবিসির।

পাপুয়ার পাহাড়ঘেরা অঞ্চল নুগাতে ছোট বিমানটি অবতরণ করার পর সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেন কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী। পাইলট ছাড়া বিমানটিতে শিশুসহ আরও পাঁচ যাত্রী ছিলেন। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদীরা চায় উত্তর পাপুয়াকে যেন আলাদা স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয় ইন্দোনেশিয়ার সরকার।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। কিন্তু সেখানে তারা পৌঁছাতে পারছেন না, কারণ ওই জায়গাটিতে শুধুমাত্র বিমানে যাওয়া যায়।

জানা গেছে পাইলটের নাম ফিলিপ মার্থেনস, যদিও ইন্দোনেশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যে নাম বলেছে সেটি আলাদা।

পাইলটকে জিম্মি করার ঘটনা স্বীকার করেছে ওয়েস্ট পাপুয় ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। এটি ইন্দোনেশিয়ার একটি তালিকাভুক্ত ‘সসস্ত্র জঙ্গি দল’।

দলটির মুখপাত্র, সেবি সামবোন হুমকি দিয়েছেন, যদি ইন্দোনেশিয়ার সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি না হয় তাহলে এই পাইলটকে হত্যা করা হবে।

এদিকে নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ‘জিম্মি ঘটনা’ সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছে তারা এবং জাকার্তায় অবস্থিত কনস্যুলেটের মাধ্যমে পাইলটের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, বিমানটি সুসি এয়ারের। এটি খনিসমৃদ্ধ অঞ্চল তিমিকা থেকে মালামাল নিয়ে পাশের অঞ্চলে যাচ্ছিল।

এদিকে পাপুয়া অঞ্চলটি আগে ডাচ উপনিবেশবাদের অংশ ছিল। এটি পাপুয়া এবং উত্তর পাপুয়া নামে দুটি প্রদেশে বিভক্ত।

১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হওয়া গণভোটের মাধ্যমে পাপুয়া অঞ্চলকে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।