ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল টঙ্গীতে ফের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ উন্নয়নের সফলতা ও উপহার বিতরণ মিঠাপুকুরে কুবিতে পাহাড়ে অস্থিরতা ও মব জাস্টিসের বিরদ্ধে মানববন্ধন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের শ্বশুর ইন্তেকাল সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

ভারতের ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের তালিকায় রয়েছে যেসব শহর

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ছুঁয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটতে পারে ভারতের বিভিন্ন শহরেও। যার মধ্যে অনেক শহরই রয়েছে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের তালিকায়।

ভারতের প্রায় ৫৯ শতাংশ ভূমি ভূমিকম্পপ্রবণ। এর মধ্যে রয়েছে আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বহু শহর। এই শহরগুলোকে জোন ৫-এ রাখা হয়েছে। এখানে সর্বোচ্চ তীব্রতার ভূমিকম্প হতে পারে।

ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং গত বছরের জুলাই মাসে এক লোকসভায় বলেছিলেন, দেশের সিসমিক জোনিং ম্যাপ অনুযায়ী মোট এলাকাকে চারটি সিসমিক জোনে ভাগ করা হয়েছে। সেই মোতাবেক জোন ৫-এ সব থেকে তীব্র ভূমিকম্প হয়। আর সব থেকে কম মাত্রার ভূমিকম্প হয় জোন ২-এ।

সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে জোন ৫-এ রয়েছে ১১ শতাংশ অঞ্চল। জোন ৪-এ ১৮ শতাংশ অঞ্চল, ৩০ শতাংশ রয়েছে জোন ৩-এ। আর বাকিগুলো পড়ে জোন ২-এ। ভারতের মধ্য হিমালয় অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।

ভারতের সব থেকে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ ও জোন ৫-এ থাকা শহরগুলো যে রাজ্যে অবস্থিত, সেগুলো হলো- গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি ভারতের নোদাল সরকারি সংস্থা ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই রিপোর্ট অনুসারে ভারতের দিল্লি তিনটি সক্রিয় সিসমিক ফল্ট লাইনের কাছাকাছি অবস্থিত, সেগুলো হলো- সোহনা, মথুরা এবং দিল্লি-মোরদাবাদ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুরুগ্রাম দিল্লি-এনসিআরের সব থেকে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা। কারণ এটি সাতটি ফল্ট লাইনে অবস্থিত। এগুলো সক্রিয় হলে উচ্চ তীব্রতার একটি ভূমিকম্পে ধ্বংস হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ

ভারতের ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের তালিকায় রয়েছে যেসব শহর

আপডেট সময় ১২:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ছুঁয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটতে পারে ভারতের বিভিন্ন শহরেও। যার মধ্যে অনেক শহরই রয়েছে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের তালিকায়।

ভারতের প্রায় ৫৯ শতাংশ ভূমি ভূমিকম্পপ্রবণ। এর মধ্যে রয়েছে আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বহু শহর। এই শহরগুলোকে জোন ৫-এ রাখা হয়েছে। এখানে সর্বোচ্চ তীব্রতার ভূমিকম্প হতে পারে।

ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং গত বছরের জুলাই মাসে এক লোকসভায় বলেছিলেন, দেশের সিসমিক জোনিং ম্যাপ অনুযায়ী মোট এলাকাকে চারটি সিসমিক জোনে ভাগ করা হয়েছে। সেই মোতাবেক জোন ৫-এ সব থেকে তীব্র ভূমিকম্প হয়। আর সব থেকে কম মাত্রার ভূমিকম্প হয় জোন ২-এ।

সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে জোন ৫-এ রয়েছে ১১ শতাংশ অঞ্চল। জোন ৪-এ ১৮ শতাংশ অঞ্চল, ৩০ শতাংশ রয়েছে জোন ৩-এ। আর বাকিগুলো পড়ে জোন ২-এ। ভারতের মধ্য হিমালয় অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।

ভারতের সব থেকে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ ও জোন ৫-এ থাকা শহরগুলো যে রাজ্যে অবস্থিত, সেগুলো হলো- গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি ভারতের নোদাল সরকারি সংস্থা ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই রিপোর্ট অনুসারে ভারতের দিল্লি তিনটি সক্রিয় সিসমিক ফল্ট লাইনের কাছাকাছি অবস্থিত, সেগুলো হলো- সোহনা, মথুরা এবং দিল্লি-মোরদাবাদ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুরুগ্রাম দিল্লি-এনসিআরের সব থেকে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা। কারণ এটি সাতটি ফল্ট লাইনে অবস্থিত। এগুলো সক্রিয় হলে উচ্চ তীব্রতার একটি ভূমিকম্পে ধ্বংস হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা।