ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার

ভয়াবহ ভূমিকম্পে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক ও সিরিয়ায় শত শত বাড়িঘর ধসে পড়ার পর সেগুলোর নিচে আটকা থাকা মানুষদের বাঁচাতে চলছে উদ্ধার অভিযান।

তবে ভূমিকম্পের বিস্তৃতি এবং ধ্বংস এতই বিশাল যে, উদ্ধারকারীরা সব জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন না। এছাড়া তুষারপাত, বৃষ্টি এবং অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।

তুরস্কের দক্ষিণ দিকের হাতেই প্রদেশে সারারাত কোনো উদ্ধার কাজ করা যায়নি। এখানে মঙ্গলবার সকালেও কোনো উদ্ধারকর্মী আসেননি।

হাতেই প্রদেশের দানিজ নামের এক পুরুষ বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সেখানে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচের আটকে পড়ে আছেন। তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। কিন্তু উদ্ধারকারীরা না আসায় তারা কিছুই করতে পারছেন না।

বৃষ্টির মধ্যে চোখ ভেজা কান্নারত দানিজ বলেছেন‘ তারা (ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষ) চিৎকার করছেন। কিন্তু কেউ আসছে না।’

‘আমরা হতাশ, ও আল্লাহ….তারা চিৎকার করছে। তারা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে। কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না…সকাল থেকে এখানে কেউ নেই।’

এরমধ্যে সিরিয়ার উদ্ধারকারী সংস্থা হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তারা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন।’

এদিকে ভূমিকম্পে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর যারা এখনো ধ্বংসস্তুূপের নিচে আটকে আছেন, কিন্ত বেঁচে আছেন— তাদের যদি উদ্ধার না করা যায় তাহলে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার পেরিয়ে যেতে পারে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪ হাজার জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার

আপডেট সময় ০২:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ভয়াবহ ভূমিকম্পে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক ও সিরিয়ায় শত শত বাড়িঘর ধসে পড়ার পর সেগুলোর নিচে আটকা থাকা মানুষদের বাঁচাতে চলছে উদ্ধার অভিযান।

তবে ভূমিকম্পের বিস্তৃতি এবং ধ্বংস এতই বিশাল যে, উদ্ধারকারীরা সব জায়গায় পৌঁছাতে পারছেন না। এছাড়া তুষারপাত, বৃষ্টি এবং অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।

তুরস্কের দক্ষিণ দিকের হাতেই প্রদেশে সারারাত কোনো উদ্ধার কাজ করা যায়নি। এখানে মঙ্গলবার সকালেও কোনো উদ্ধারকর্মী আসেননি।

হাতেই প্রদেশের দানিজ নামের এক পুরুষ বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সেখানে অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচের আটকে পড়ে আছেন। তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। কিন্তু উদ্ধারকারীরা না আসায় তারা কিছুই করতে পারছেন না।

বৃষ্টির মধ্যে চোখ ভেজা কান্নারত দানিজ বলেছেন‘ তারা (ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষ) চিৎকার করছেন। কিন্তু কেউ আসছে না।’

‘আমরা হতাশ, ও আল্লাহ….তারা চিৎকার করছে। তারা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছে। কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না…সকাল থেকে এখানে কেউ নেই।’

এরমধ্যে সিরিয়ার উদ্ধারকারী সংস্থা হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তারা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন।’

এদিকে ভূমিকম্পে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর যারা এখনো ধ্বংসস্তুূপের নিচে আটকে আছেন, কিন্ত বেঁচে আছেন— তাদের যদি উদ্ধার না করা যায় তাহলে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার পেরিয়ে যেতে পারে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪ হাজার জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।