ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইএমএফের কঠিন সব শর্ত মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের

ভঙ্গুর অর্থনীতি সচল করতে বিপুল ঋণ প্রয়োজন পাকিস্তানের। আর এ ঋণ পেতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দারস্থ হয়েছিল ইসলামাবাদ। তবে ঋণের জন্য কঠিন সব শর্ত দিয়েছিল আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি। প্রথমে সেগুলো মেনে নিতে গড়িমসি করলেও এখন সব শর্ত মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। শর্ত মেনে নেওয়ার অংশ হিসেবে দেশটির ব্যবসা, বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্র মিলিয়ে নতুন ২০০ বিলিয়ন ডলার কর আরোপ করা হবে। যার মধ্যে থাকবে বন্যা করও। এ নিয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের দুটি অধ্যাদেশের খসড়াও তৈরি করেছে দেশটি।

সংবাদমাধ্যম ডন আরও জানিয়েছে, আইএমএফের চাহিদা অনুযায়ী, সরকার বিদ্যুতের ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া রপ্তানিজাত কাঁচামালের ওপর কর, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং গ্যাসের ওপর শুল্ক আরোপের চিন্তা-ভাবনাও করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) পাকিস্তানে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ শর্ত মেনে সেগুলো বাস্তবায়ন করার নিশ্চয়তা দেওয়ার পরই প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

এছাড়া ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউর (এফবিআর) আদায়কৃত বন্যা কর পেট্রোলিয়াম ডেভেলপমেন্ট করের (পিডিএল) ঘাটতি পূরণে ব্যবহার করা হবে। আইএমএফ জানিয়েছিল, বর্তমানে পিডিএলের ঘাটতি আছে ৩০০ বিলিয়ন ডলার। আর এ কারণে প্রতি লিটার পেট্রোল এবং ডিজেলের কর ৩৫ রুপি থেকে ৫০ রুপি নির্ধারণ করতে বলেছিল সংস্থাটি। এ নিয়ে ৩১ জানুয়ারি একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ডন জানিয়েছে এতে করে প্রতি লিটার পেট্রোলিয়ামের দাম ২০ থেকে ৪০ রুপি বৃদ্ধি পাবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আইএমএফের কঠিন সব শর্ত মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের

আপডেট সময় ১২:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

ভঙ্গুর অর্থনীতি সচল করতে বিপুল ঋণ প্রয়োজন পাকিস্তানের। আর এ ঋণ পেতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দারস্থ হয়েছিল ইসলামাবাদ। তবে ঋণের জন্য কঠিন সব শর্ত দিয়েছিল আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি। প্রথমে সেগুলো মেনে নিতে গড়িমসি করলেও এখন সব শর্ত মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। শর্ত মেনে নেওয়ার অংশ হিসেবে দেশটির ব্যবসা, বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্র মিলিয়ে নতুন ২০০ বিলিয়ন ডলার কর আরোপ করা হবে। যার মধ্যে থাকবে বন্যা করও। এ নিয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের দুটি অধ্যাদেশের খসড়াও তৈরি করেছে দেশটি।

সংবাদমাধ্যম ডন আরও জানিয়েছে, আইএমএফের চাহিদা অনুযায়ী, সরকার বিদ্যুতের ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া রপ্তানিজাত কাঁচামালের ওপর কর, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং গ্যাসের ওপর শুল্ক আরোপের চিন্তা-ভাবনাও করা হচ্ছে।

জানা গেছে, আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) পাকিস্তানে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ শর্ত মেনে সেগুলো বাস্তবায়ন করার নিশ্চয়তা দেওয়ার পরই প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

এছাড়া ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউর (এফবিআর) আদায়কৃত বন্যা কর পেট্রোলিয়াম ডেভেলপমেন্ট করের (পিডিএল) ঘাটতি পূরণে ব্যবহার করা হবে। আইএমএফ জানিয়েছিল, বর্তমানে পিডিএলের ঘাটতি আছে ৩০০ বিলিয়ন ডলার। আর এ কারণে প্রতি লিটার পেট্রোল এবং ডিজেলের কর ৩৫ রুপি থেকে ৫০ রুপি নির্ধারণ করতে বলেছিল সংস্থাটি। এ নিয়ে ৩১ জানুয়ারি একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ডন জানিয়েছে এতে করে প্রতি লিটার পেট্রোলিয়ামের দাম ২০ থেকে ৪০ রুপি বৃদ্ধি পাবে।