ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০ বছর আগের আশঙ্কাই সত্যি, ভাঙল লন্ডনের সমান বরফখণ্ড

১০ বছর আগের আশঙ্কা সত্যি করে অ্যান্টার্কটিকায় ভেঙে পড়ল বিশাল আকৃতির এক হিমশৈল (বরফখণ্ড)। ভেঙে পড়া হিমশৈলটির আকার প্রায় দেড় হাজার বর্গকিলোমিটারের মতো। এক কথায় বৃহত্তর লন্ডনের সমান।

গত রোববার বরফখণ্ডটি ভেঙে পড়ে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস)। ব্রিটেনের জাতীয় এই সংস্থা অ্যান্টার্কটিকায় বিভিন্ন ধরনের গবেষণা ও নানা ধরণের জরিপ পরিচালনার কাজে যুক্ত।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের খবরে বলা হয়, এক দশক আগেই বিজ্ঞানীরা ব্রান্ট আইস শেলফের এই হিমশৈলে বড় ধরনের একটি ভাঙনের বিষয়টি জানতে পারেন। বিগত দু’বছরে হিমশৈলটিতে বড় ধরনের দুটি ভাঙন ধরে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হিমশৈলটির ভাঙনে গবেষণাকেন্দ্রটির কোনো ক্ষতি হয়নি। গবেষকরা বলছেন, এটা জলবায়ু পরিবর্তনের ফল নয়। ১৫৫০ বর্গকিলোমিটার আকারের এই হিমশৈলটি যে ভাঙবে তা একরকম জানাই ছিল তাদের। স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণেই এটা ভেঙে পড়েছে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের হিমশৈল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডমিনিক হজসন বলেন, হিমশৈল ভেঙে পড়ার এই ঘটনা প্রত্যাশিতই ছিল। এটা ব্রান্ট আইস শেলফের স্বাভাবিক আচরণ। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ বছর আগের আশঙ্কাই সত্যি, ভাঙল লন্ডনের সমান বরফখণ্ড

আপডেট সময় ১২:১৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

১০ বছর আগের আশঙ্কা সত্যি করে অ্যান্টার্কটিকায় ভেঙে পড়ল বিশাল আকৃতির এক হিমশৈল (বরফখণ্ড)। ভেঙে পড়া হিমশৈলটির আকার প্রায় দেড় হাজার বর্গকিলোমিটারের মতো। এক কথায় বৃহত্তর লন্ডনের সমান।

গত রোববার বরফখণ্ডটি ভেঙে পড়ে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস)। ব্রিটেনের জাতীয় এই সংস্থা অ্যান্টার্কটিকায় বিভিন্ন ধরনের গবেষণা ও নানা ধরণের জরিপ পরিচালনার কাজে যুক্ত।

ভারতীয় গণমাধ্যম জিনিউজের খবরে বলা হয়, এক দশক আগেই বিজ্ঞানীরা ব্রান্ট আইস শেলফের এই হিমশৈলে বড় ধরনের একটি ভাঙনের বিষয়টি জানতে পারেন। বিগত দু’বছরে হিমশৈলটিতে বড় ধরনের দুটি ভাঙন ধরে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হিমশৈলটির ভাঙনে গবেষণাকেন্দ্রটির কোনো ক্ষতি হয়নি। গবেষকরা বলছেন, এটা জলবায়ু পরিবর্তনের ফল নয়। ১৫৫০ বর্গকিলোমিটার আকারের এই হিমশৈলটি যে ভাঙবে তা একরকম জানাই ছিল তাদের। স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণেই এটা ভেঙে পড়েছে।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের হিমশৈল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডমিনিক হজসন বলেন, হিমশৈল ভেঙে পড়ার এই ঘটনা প্রত্যাশিতই ছিল। এটা ব্রান্ট আইস শেলফের স্বাভাবিক আচরণ। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই।