ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

আইএমফের ঋণ পেতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরনা পাকিস্তানের

পাকিস্তানে বর্তমানে চলছে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা। দেশটির বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। আর এখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেতে দৌড়ঝাপ করছে পাকিস্তান। তবে আইএমএফের কঠিন শর্তের কারণে এ ঋণ বিতরণ থমকে আছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তানকে যেন আইএমএফ সহজ শর্তে ঋণ দেয় সেটি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরনা দিয়েছেন পাক অর্থমন্ত্রী ইশহাক দার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের এশিয়া বিষয়ক উপ সহকারী সচিব রবার্ট কাপরোথের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন কূটনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে পাকিস্তানকে এ ঋণ পেতে সহায়তা করে।

বুধবার এই মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী ইশহাক দার। সেখানেই এই অনুরোধ জানান তিনি। আইএমএফের ঋণ পেতে হলে পাকিস্তানে বৃদ্ধি করতে হবে জ্বালানির মূল্য। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কমাতে হবে সরকারি ব্যয়। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবং রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করে এ ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না। এমনিতেই করের ভারে জর্জরিত মানুষের ওপর আরও করের বোঝা চাপাতে চান না তিনি।

পাকিস্তান-আইএমএফ আলোচনা

একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সরকার এবং আইএমএফের মধে আলোচনা চলছে। এ সপ্তাহেও দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে। তবে আইএমএফ শর্ত শিথিল করার ক্ষেত্রে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। পাকিস্তান এবং আইএমএফের মধ্যে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি তর্ক চলছে সেটি হলো ‘বিনিময় হার।’ আইএমফ বলছে, বর্তমানে যে বিনিময় হার রয়েছে এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

যদিও পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন ঋণ পেতে আইএমএফের সব শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে এটি তার জন্য সম্ভব হচ্ছে না। তবে জিও নিউজের কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আইএমএফের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

আইএমফের ঋণ পেতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরনা পাকিস্তানের

আপডেট সময় ০১:০২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

পাকিস্তানে বর্তমানে চলছে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা। দেশটির বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। আর এখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেতে দৌড়ঝাপ করছে পাকিস্তান। তবে আইএমএফের কঠিন শর্তের কারণে এ ঋণ বিতরণ থমকে আছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তানকে যেন আইএমএফ সহজ শর্তে ঋণ দেয় সেটি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরনা দিয়েছেন পাক অর্থমন্ত্রী ইশহাক দার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের এশিয়া বিষয়ক উপ সহকারী সচিব রবার্ট কাপরোথের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন কূটনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে পাকিস্তানকে এ ঋণ পেতে সহায়তা করে।

বুধবার এই মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী ইশহাক দার। সেখানেই এই অনুরোধ জানান তিনি। আইএমএফের ঋণ পেতে হলে পাকিস্তানে বৃদ্ধি করতে হবে জ্বালানির মূল্য। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কমাতে হবে সরকারি ব্যয়। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবং রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করে এ ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না। এমনিতেই করের ভারে জর্জরিত মানুষের ওপর আরও করের বোঝা চাপাতে চান না তিনি।

পাকিস্তান-আইএমএফ আলোচনা

একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সরকার এবং আইএমএফের মধে আলোচনা চলছে। এ সপ্তাহেও দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে। তবে আইএমএফ শর্ত শিথিল করার ক্ষেত্রে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। পাকিস্তান এবং আইএমএফের মধ্যে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি তর্ক চলছে সেটি হলো ‘বিনিময় হার।’ আইএমফ বলছে, বর্তমানে যে বিনিময় হার রয়েছে এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

যদিও পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন ঋণ পেতে আইএমএফের সব শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে এটি তার জন্য সম্ভব হচ্ছে না। তবে জিও নিউজের কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আইএমএফের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে।