ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

পাটকে কৃষিজাতপণ্য গণ্য করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

পাটকে কৃষিজাতপণ্য হিসেবে গণ্য করার পাশাপাশি এটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন। কৃষি ঋণসহ কৃষিজাত পণ্যের ক্ষেত্রে যেসব সুবিধা দেওয়া হয়, পাটের ক্ষেত্রেও তা দেওয়া হবে। জাতীয় কৃষি বিপণন নীতির খসড়া নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী পাট নিয়ে এই নির্দেশ দেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই নীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে, সভার সিদ্ধান্ত জানান নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাটের আঁশের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য অনেক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে এখন থেকে পাট হবে কৃষিজাত পণ্য। পাট এখন থেকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে। এতদিন পাটকে শিল্পজাত পণ্য হিসেবে গণ্য হতো।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী রপ্তানির সুবিধার্থে এবং পণ্যকে আধুনিক করার প্রয়োজনে কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়েও একটি নীতিমালা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

কৃষি বিপণন নীতিতে ১৯ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় কৃষি বিপণন নীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নীতিতে কতগুলো বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি ব্যবসায় বাজার সংযোগ বৃদ্ধি, কৃষি বিপণন সহায়ক বাজারের তথ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা, কমিউনিটিভিত্তিক ও গ্রুপভিত্তিক বিপণন জোরদার, কৃষি উপকরণ এবং বিপণনকে সহজ ও আধুনিক করা, কৃষিপণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণাগারের ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, কৃষি বিপণন সংক্রান্ত অবকাঠামোর উন্নয়ন, কৃষি ব্যবসার মাধ্যমে যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া, নারীর ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি, ই-কৃষিবাজারকে সহায়তা করা এবং  নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্য সহনীয় করার জন্য সরববরাহ ব্যবস্থা দেখভাল করা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে  বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ( সংশোধন) আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি মূলত সরাসরি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য গত বছর অধ্যাদেশ আকারে বিইআরসির যে আইন সংশোধন করা হয়েছিল, সেটিই  নিয়মিত আইনে রূপান্তরের উদ্যোগ। সেই সময় সংসদ অধিবেশন না থাকায়, অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছিল।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

পাটকে কৃষিজাতপণ্য গণ্য করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ১২:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

পাটকে কৃষিজাতপণ্য হিসেবে গণ্য করার পাশাপাশি এটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন। কৃষি ঋণসহ কৃষিজাত পণ্যের ক্ষেত্রে যেসব সুবিধা দেওয়া হয়, পাটের ক্ষেত্রেও তা দেওয়া হবে। জাতীয় কৃষি বিপণন নীতির খসড়া নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী পাট নিয়ে এই নির্দেশ দেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই নীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে, সভার সিদ্ধান্ত জানান নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাটের আঁশের ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য অনেক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে এখন থেকে পাট হবে কৃষিজাত পণ্য। পাট এখন থেকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে। এতদিন পাটকে শিল্পজাত পণ্য হিসেবে গণ্য হতো।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী রপ্তানির সুবিধার্থে এবং পণ্যকে আধুনিক করার প্রয়োজনে কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়েও একটি নীতিমালা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

কৃষি বিপণন নীতিতে ১৯ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় কৃষি বিপণন নীতির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নীতিতে কতগুলো বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি ব্যবসায় বাজার সংযোগ বৃদ্ধি, কৃষি বিপণন সহায়ক বাজারের তথ্য ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা, কমিউনিটিভিত্তিক ও গ্রুপভিত্তিক বিপণন জোরদার, কৃষি উপকরণ এবং বিপণনকে সহজ ও আধুনিক করা, কৃষিপণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণাগারের ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, কৃষি বিপণন সংক্রান্ত অবকাঠামোর উন্নয়ন, কৃষি ব্যবসার মাধ্যমে যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া, নারীর ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি, ই-কৃষিবাজারকে সহায়তা করা এবং  নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্য সহনীয় করার জন্য সরববরাহ ব্যবস্থা দেখভাল করা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে  বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ( সংশোধন) আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি মূলত সরাসরি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য গত বছর অধ্যাদেশ আকারে বিইআরসির যে আইন সংশোধন করা হয়েছিল, সেটিই  নিয়মিত আইনে রূপান্তরের উদ্যোগ। সেই সময় সংসদ অধিবেশন না থাকায়, অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছিল।