ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কেন্দুয়া সান্দিকোণা ইউনিয়নের হলি চাইল্ড কিন্টার গার্ডেন এন্ড হাইস্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত দেশ গঠনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্ন সুন্দরবনের জোংড়া এলাকা থেকে ২৫কেজি হরিণের মাংস ও হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ করেছেন বনবিভাগ। জোরপূর্বক বড় ভাইয়ের জায়গা দখল করেছেন ছোট বোন বর্তমানে নিঃস্ব ভাই নাছির উদ্দিনের পরিবার কেন্দুয়ায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন ছাত্রনেতাঃ আবুল হোসেন বড়াইগ্রামে কৃষি প্রণোদনা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ! কালিয়াকৈর শহীদ জন্মবার্ষিকীরাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৮৯ তম উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জাতি শহীদ জিয়ার অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে;  আনিসুর রহমান আনিস বকশীগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত রংপুরে শহীদ জিয়ার জন্মদিনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

‘এনআইডি স্থানান্তর হলে ইভিএমে ঝামেলা হবে না’

নির্বাচন কমিশন অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বা অন্য যেখানেই এনআইডি থাকুক না কেন ইভিএম ব্যবহারে কোনও ঝামেলা হওয়ার কথা না। এনআইডির ডাটাগুলো অন্য কোথাও থাকলেও টেকনিক্যাল পয়েন্টে কোনও ঝামেলা হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

‘এনআইডি ইসি থেকে চলে গেলে ভোটদানে কোনও ঝামেলা হবে কি না’ -এ বিষয়ে রোববার (০৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসির সম্মেলন কক্ষে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আলোচনায় নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক হায়দার, ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক কায়কোবাদ প্রমুখ।

তিনি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমরা সবাই সেটা স্বীকার করে নিচ্ছি অত্যন্ত সুন্দর একটা ডাটাবেজ আছে। ১৮ বছরের নিচে যারা আছে তাদের তথ্য নিতে চাচ্ছি। এখন কমিশন না অন্য কেউ নেবে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

অধ্যাপক হায়দার বলেন, ‘মালিকানা হচ্ছে রাষ্ট্র। সরকারই টাকা দিয়ে এটা (এনআইডি) তৈরি করেছে। টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে ইতিবাচক, নেতিবাচক আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত কমিশন বা সরকার নেবে। তারা আরও জানবেন বিষয়টা। তারপর তারা আলোচনা করে বিষয়টা সিদ্ধান্ত নেবে তারা। ডাটাবেজ একটা জায়গায় থাকবে। কোনও কোনও দেশে কমিশনের কাছে আছে। কোনো কোনো দেশে সরকারের কাছে আছে। আমরা কোনোটাই জোর দিইনি, কার কাছে থাকা উচিত।’

অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, ‘রাষ্ট্রে আমরা ব্যয় সাশ্রয় করি এবং কমিশনের এই বিষয় অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক সময় একটি কাজ যখন সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে তখন সেটা আমরা অন্য জায়গায় নিয়ে যাই। নানা ধরনের সমস্যায় ভুগি। কো-অর্ডিনেশনে আমরা মোটেই ভালো না। যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজটা হয় এটাই আমরা চাই। ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই যাক না কেন তাদের তো এই অভিজ্ঞতা নাই। কাজেই এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়া উচিত।’

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি ১৮ নিচে এনআইডি দেয়, এতে ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার হয়ে যাবে। আর নির্বাচন কমিশন চাইলে সেটা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করে নিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এনআইডি কার কাছে থাকবে সেটা কমিশন এবং সরকার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সরকার ইসির কাছ থেকে এনআইডি সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে নানা মহল থেকেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে, এতে ইভিএমে ভোটগ্রহণে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। এছাড়া সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, বিড়ম্বনা আরও বাড়তে পারে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন্দুয়া সান্দিকোণা ইউনিয়নের হলি চাইল্ড কিন্টার গার্ডেন এন্ড হাইস্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

‘এনআইডি স্থানান্তর হলে ইভিএমে ঝামেলা হবে না’

আপডেট সময় ০২:৪৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

নির্বাচন কমিশন অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বা অন্য যেখানেই এনআইডি থাকুক না কেন ইভিএম ব্যবহারে কোনও ঝামেলা হওয়ার কথা না। এনআইডির ডাটাগুলো অন্য কোথাও থাকলেও টেকনিক্যাল পয়েন্টে কোনও ঝামেলা হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

‘এনআইডি ইসি থেকে চলে গেলে ভোটদানে কোনও ঝামেলা হবে কি না’ -এ বিষয়ে রোববার (০৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসির সম্মেলন কক্ষে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আলোচনায় নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক হায়দার, ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক কায়কোবাদ প্রমুখ।

তিনি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমরা সবাই সেটা স্বীকার করে নিচ্ছি অত্যন্ত সুন্দর একটা ডাটাবেজ আছে। ১৮ বছরের নিচে যারা আছে তাদের তথ্য নিতে চাচ্ছি। এখন কমিশন না অন্য কেউ নেবে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

অধ্যাপক হায়দার বলেন, ‘মালিকানা হচ্ছে রাষ্ট্র। সরকারই টাকা দিয়ে এটা (এনআইডি) তৈরি করেছে। টেকনিক্যাল পয়েন্ট থেকে ইতিবাচক, নেতিবাচক আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত কমিশন বা সরকার নেবে। তারা আরও জানবেন বিষয়টা। তারপর তারা আলোচনা করে বিষয়টা সিদ্ধান্ত নেবে তারা। ডাটাবেজ একটা জায়গায় থাকবে। কোনও কোনও দেশে কমিশনের কাছে আছে। কোনো কোনো দেশে সরকারের কাছে আছে। আমরা কোনোটাই জোর দিইনি, কার কাছে থাকা উচিত।’

অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, ‘রাষ্ট্রে আমরা ব্যয় সাশ্রয় করি এবং কমিশনের এই বিষয় অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক সময় একটি কাজ যখন সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে তখন সেটা আমরা অন্য জায়গায় নিয়ে যাই। নানা ধরনের সমস্যায় ভুগি। কো-অর্ডিনেশনে আমরা মোটেই ভালো না। যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজটা হয় এটাই আমরা চাই। ইসির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত। অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই যাক না কেন তাদের তো এই অভিজ্ঞতা নাই। কাজেই এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়া উচিত।’

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি ১৮ নিচে এনআইডি দেয়, এতে ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার হয়ে যাবে। আর নির্বাচন কমিশন চাইলে সেটা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করে নিতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এনআইডি কার কাছে থাকবে সেটা কমিশন এবং সরকার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সরকার ইসির কাছ থেকে এনআইডি সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে নানা মহল থেকেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যে, এতে ইভিএমে ভোটগ্রহণে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। এছাড়া সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, বিড়ম্বনা আরও বাড়তে পারে।