ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে পুলিশকে আরও সজাগ থাকার নির্দেশ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধে পুলিশকে আরও সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। 

পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ  নির্দেশনা দেন। পুলিশের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশকে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করে এবং দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আইনি সেবা পেতে জনগণ যেন হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

‘পুলিশ-থানা’কে জনগণের আইনি সহায়তা পাওয়ার প্রাথমিক কেন্দ্র উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, থানায় আসা বিপন্ন মানুষকে তাদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানে আপনাদেরকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করারও  তাগিদ দেন আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং, ওপেন হাউজ ডে ইত্যাদি জনমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পুলিশের জন্য অনেক সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন।

পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আরো বাড়াতে এ ধরনের আরও প্রযুক্তিনির্ভর জনমুখী সেবা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করারও তাগিদ দেন। প্রথাগত অপরাধের সঙ্গে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ও সাইবার বুলিংসহ সাইবার অপরাধের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে রাষ্ট্রপতি মনে করেন।

তিনি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ পুলিশকে এগিয়ে থাকতে হবে। তিনি বলেন, কিশোর অপরাধ দমনেও বাংলাদেশ পুলিশকে আরো তৎপর হতে হবে। বাবা-মা, অভিভাবক ও পরিবারকেও এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, পুলিশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তুলতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে পুলিশকে আরও সজাগ থাকার নির্দেশ

আপডেট সময় ১১:৫৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধে পুলিশকে আরও সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। 

পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে বুধবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ  নির্দেশনা দেন। পুলিশের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশকে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করে এবং দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আইনি সেবা পেতে জনগণ যেন হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

‘পুলিশ-থানা’কে জনগণের আইনি সহায়তা পাওয়ার প্রাথমিক কেন্দ্র উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, থানায় আসা বিপন্ন মানুষকে তাদের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানে আপনাদেরকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করারও  তাগিদ দেন আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং, ওপেন হাউজ ডে ইত্যাদি জনমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশিংয়ের ক্ষেত্রে জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পুলিশের জন্য অনেক সহজ হবে বলে তিনি মনে করেন।

পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আরো বাড়াতে এ ধরনের আরও প্রযুক্তিনির্ভর জনমুখী সেবা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করারও তাগিদ দেন। প্রথাগত অপরাধের সঙ্গে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ও সাইবার বুলিংসহ সাইবার অপরাধের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে রাষ্ট্রপতি মনে করেন।

তিনি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ পুলিশকে এগিয়ে থাকতে হবে। তিনি বলেন, কিশোর অপরাধ দমনেও বাংলাদেশ পুলিশকে আরো তৎপর হতে হবে। বাবা-মা, অভিভাবক ও পরিবারকেও এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, পুলিশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে গড়ে তুলতে হবে।