ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থপতি মোবাশ্বেরের মরদেহ বিএসএমএমইউয়ে হস্তান্তর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনাটমি বিভাগের কাছে দেশ বরেণ্য স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মরণোত্তর দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বুধবার (৪ জানুয়ারি) মোবাশ্বের হোসেনের ছেলে সাইদ হোসেন তমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এ ধরণের মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করে মরণোত্তর দেহদানকারীর নিকট আত্মীয়সহ পরিবারের সবাইকে এ ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দেশের সব মানুষের প্রতি এরকম মহৎ কাজে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের দেহ সংরক্ষণ, পরীক্ষণ এবং গবেষণাকার সর্বাধুনিক। আমাদের এখানে যাদের দেহদান করা হয়েছে, তাদের স্বজনদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান জানানো হবে। মরণোত্তর দেহদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে একে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রয়াতের পুত্র সাঈদ হোসেন তমাল বলেন,  মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা সর্বস্ব ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। আমার বাবা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। সর্বশেষ চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি তার দেহদান করে গেছেন।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, দিল্লি হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার সাংবাদিক শাবান মাহমুদ, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মেয়ে সোনিয়া কৃষ্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনরা, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানরা, এনাটমি বিভাগের সব শিক্ষক ও রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি এনাটমি বিভাগের নবনির্মিত মরচুয়ারি, প্ল্যাস্টিনেশন ল্যাব, স্কিল ল্যাব অ্যান্ড মিউজিয়াম কমপ্লেক্সে সম্পন্ন করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে এক মাস সময় লাগবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্থপতি মোবাশ্বেরের মরদেহ বিএসএমএমইউয়ে হস্তান্তর

আপডেট সময় ০৩:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনাটমি বিভাগের কাছে দেশ বরেণ্য স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মরণোত্তর দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বুধবার (৪ জানুয়ারি) মোবাশ্বের হোসেনের ছেলে সাইদ হোসেন তমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এ ধরণের মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করে মরণোত্তর দেহদানকারীর নিকট আত্মীয়সহ পরিবারের সবাইকে এ ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দেশের সব মানুষের প্রতি এরকম মহৎ কাজে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের দেহ সংরক্ষণ, পরীক্ষণ এবং গবেষণাকার সর্বাধুনিক। আমাদের এখানে যাদের দেহদান করা হয়েছে, তাদের স্বজনদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান জানানো হবে। মরণোত্তর দেহদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে একে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রয়াতের পুত্র সাঈদ হোসেন তমাল বলেন,  মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা সর্বস্ব ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। আমার বাবা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। সর্বশেষ চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি তার দেহদান করে গেছেন।

মরদেহ হস্তান্তরের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, দিল্লি হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার সাংবাদিক শাবান মাহমুদ, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মেয়ে সোনিয়া কৃষ্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনরা, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানরা, এনাটমি বিভাগের সব শিক্ষক ও রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি এনাটমি বিভাগের নবনির্মিত মরচুয়ারি, প্ল্যাস্টিনেশন ল্যাব, স্কিল ল্যাব অ্যান্ড মিউজিয়াম কমপ্লেক্সে সম্পন্ন করা হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে এক মাস সময় লাগবে।