সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জার্মানি জুড়ে অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ অভিযোগ করছে, দেশের ডানপন্থী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তারা পার্লামেন্ট ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে চরমপন্থী ‘রাইশব্যুর্গার আন্দোলনের’ সদস্যরাও আছেন এবং তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ত্রয়োদশ হাইনরিখ নামের এক ব্যক্তি। তাকেও আটক করেছে পুলিশ।
যদিও হাইনরিখের পরিবার জানিয়েছেন, তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না পরিবারের বাকি সদস্যদের।চক্রান্তকারীদের পরিকল্পনা ছিল, সময় বুঝে রাইখস্ট্যাগ পার্লামেন্টে হামলা চালানো এবং ক্ষমতা দখল করা। চক্রান্তকারীরা কোন দলের তা এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা চরমপন্থী রাইখসবিউর্গার (সিটিজেন্স অব রাইখ) দলের সদস্য। ২০১৬ সাল থেকেই তারা পুলিশের নজরে রয়েছে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য প্রচারের জন্য।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে ১১টি রাজ্যে ১৩০টি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। অন্তত তিন হাজার পুলিশ সদস্য এই অভিযানে অংশ নেয়। এসব রাজ্য থেকে হেনরিকসহ ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হেনরিক নিজেকে ‘যুবরাজ’ হিসেবে পরিচয় দেন। সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে বাদেন-উর্তেমবেয়ার্গ ও বাভেরিয়া রাজ্যে। অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে অস্ট্রিয়া ও ইতালিতে দুই জার্মান নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জার্মানির বিচারমন্ত্রী মার্কো বুচম্যান একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি জানান, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করেছিল।