ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অবৈধ ভাবে গোয়াইনঘাট নদীর পার থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবন জুলাই অভ্যুত্থানে শাহবাগের সবচেয়ে বড় মিছিল ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের – বাকের সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবি থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১২৮ জন বহিষ্কার জাবির ৬ নং ছাত্র হল প্রশাসনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জবির দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করল ঢাবি কুবিতে নোয়াখালী ছাত্রকল্যাণ পরিষদের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গফরগাঁয়ে মাটিকাটা নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নিহত ১ একাত্তরে আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু স্বাধীনতা পাইনি -আমির ডা. তাহের নারায়ণগঞ্জে মাদক নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা কেশবপুর খ্রিস্টান মিশন থেকে তিন পাহাড়ি মেয়েকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী 

পার্বতীপুর ইউএনও’কে কার্যালয় থেকে বের করে দিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তুলে অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ইউএনওকে তার কার্যালয় থেকে বের করে দিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও স্থানীয় জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে বুধবার (১২জানুয়ারী) বিকেলে স্হানীয় শহীদ মিনার চত্বরে পার্বতীপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরীক কমিটির আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এসময় বক্তব্য রাখেন নাগরিক কিমিটির পার্বতীপুরের প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম, সোহেল সাজ্জাদ, রোকুনুজ্জামান রকিসহ সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগের দোষর ইউএনও ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন যাবৎ পার্বতীপুর উপজেলায় একক স্বেচ্ছাচারিতায় রাজত্ব কায়েম করেছে। নানা অনিয়মের অভিযোগে পর পর তিন বার বদলী আদেশ হলেও তিনি কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে পার্বতীপুরে রয়ে গেছেন অনতিবিলম্বে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। বাক বিতন্ডা চলাকালে বিক্ষোভ কারীরা দু’ঘন্টার মধ্যে তাকে পার্বতীপুর ছেড়ে চলে যেতে বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা খাতুন বলেন, আমি সরকারী চাকুরী করি। রিলিজ অর্ডার ছাড়া আমি কি যেতে পারি ? আমার বদলী চান কি কারনে আমি জানি না বদলী করে আনেন ? আমি চলে যাবো।

পরে উত্তেজিত আন্দোলনকারীদের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশাসনের সহযোগীতায় অফিস ত্যাগ করেন অভিযুক্ত ইউএনও ফাতেমা খাতুন।

নাগরীক কমিটির প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম বলেন, ইউএনও ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে এডিবি, জনস্বাস্থ্য খাতসহ নানা খাতে তার দূর্নীতির অভিযোগ আছে। পরে উপজেলা অফিসা কক্ষ ত্যাগ করে বিক্ষোভ কারীরা চলে যান।

এ সময় প্রিন্ট ও মিডিয়ার সংবাদকর্মী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেনা বাহিনীর একটি দল ও উপজেলা চত্তরে এসে উপস্থিত হন।

এ বিষয় জানতে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা খাতুনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজন ছাত্রসহ জাতীয় নাগরিক কমিটি ও স্থানীয় জনতা আমার অফিসে আছে। তাদের খুশি রাখার জন্য আমি অফিস থেকে বের হয়ে গেছি।

তিনি আরোও বলেন, আমি বাসভবনে অবস্থান করছি। উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ ভাবে গোয়াইনঘাট নদীর পার থেকে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবন

পার্বতীপুর ইউএনও’কে কার্যালয় থেকে বের করে দিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা

আপডেট সময় ০৩:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তুলে অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ইউএনওকে তার কার্যালয় থেকে বের করে দিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও স্থানীয় জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে বুধবার (১২জানুয়ারী) বিকেলে স্হানীয় শহীদ মিনার চত্বরে পার্বতীপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরীক কমিটির আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এসময় বক্তব্য রাখেন নাগরিক কিমিটির পার্বতীপুরের প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম, সোহেল সাজ্জাদ, রোকুনুজ্জামান রকিসহ সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগের দোষর ইউএনও ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন যাবৎ পার্বতীপুর উপজেলায় একক স্বেচ্ছাচারিতায় রাজত্ব কায়েম করেছে। নানা অনিয়মের অভিযোগে পর পর তিন বার বদলী আদেশ হলেও তিনি কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে পার্বতীপুরে রয়ে গেছেন অনতিবিলম্বে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। বাক বিতন্ডা চলাকালে বিক্ষোভ কারীরা দু’ঘন্টার মধ্যে তাকে পার্বতীপুর ছেড়ে চলে যেতে বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা খাতুন বলেন, আমি সরকারী চাকুরী করি। রিলিজ অর্ডার ছাড়া আমি কি যেতে পারি ? আমার বদলী চান কি কারনে আমি জানি না বদলী করে আনেন ? আমি চলে যাবো।

পরে উত্তেজিত আন্দোলনকারীদের পরিস্থিতি বেগতিক দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশাসনের সহযোগীতায় অফিস ত্যাগ করেন অভিযুক্ত ইউএনও ফাতেমা খাতুন।

নাগরীক কমিটির প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম বলেন, ইউএনও ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে এডিবি, জনস্বাস্থ্য খাতসহ নানা খাতে তার দূর্নীতির অভিযোগ আছে। পরে উপজেলা অফিসা কক্ষ ত্যাগ করে বিক্ষোভ কারীরা চলে যান।

এ সময় প্রিন্ট ও মিডিয়ার সংবাদকর্মী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেনা বাহিনীর একটি দল ও উপজেলা চত্তরে এসে উপস্থিত হন।

এ বিষয় জানতে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা খাতুনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজন ছাত্রসহ জাতীয় নাগরিক কমিটি ও স্থানীয় জনতা আমার অফিসে আছে। তাদের খুশি রাখার জন্য আমি অফিস থেকে বের হয়ে গেছি।

তিনি আরোও বলেন, আমি বাসভবনে অবস্থান করছি। উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।