ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল শ্রীমঙ্গলে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ইসলামী আন্দোলন কাচিয়া ইউনিয়ন শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মাগুরায় বিচার চাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে প্রবাসী পরিবার ঢাকাস্থ্য মুন্সিরহাট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পাংশায় বর্ষিয়ান কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল মান্নানের ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত যশোর লেবুতলা ইউনিয়নে জামায়াতের ইফতার মাহফিল নোয়াখালী বেগমগঞ্জের কাদিরপুরে বিএনপির ইফতার মাহফিল শ্রীপুর গোসিংগা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শরীয়তপুরের জাজিরা দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

সংবাদ প্রকাশের পর কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন সেই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক

 

একটি কমিটি থেকে পদত্যাগ কতলেও বাকি পদগুলোতে বহাল তবিয়তে, বেরোবি আওয়ামী পন্থী শিক্ষক আপেল মাহমুদ

 

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শহীদ আবু সাঈদ বই মেলার কমিটি থেকে সাবেক নীল দলের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আপেল মাহমুদ পদত্যাগ করেছেন। তবে বইমেলার কমিটির থেকে পদত্যাগ করলেও যানবাহন কেনাকাটা কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সহ একাধিক কমিটিতে এখনো বহাল রয়েছে। প্রশাসনের সকল পদ থেকে পদত্যাগ দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

“বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ বইমেলার দায়িত্বে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক!”, এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানায়,বিকেলে শহীদ আবু সাঈদ বইমেলা থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ড. আপেল মাহমুদ।

এদিকে উপাচার্য ড.মোঃ শওকাত আলী সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ধরনের কোন লোককে ভবিষ্যতে আমরা আর প্রশাসনের কোন কমিটিতে রাখবো না।

সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.শওকাত আলী নিয়োগের পর পরই ভোল পাল্টে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলামের সহায়তা প্রথমেই নিজের প্রমোশন ভাগিয়ে নেন হিসাব অধ্যাপক ড. আপেল মাহমুদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কট্টোর আওয়ামীপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ড. আপেল মাহমুদ ছাত্র জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ক্যাম্পাসে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েই ২০১৪ সালে নীলদল প্রতিষ্ঠা করে নিজেই সভাপতি হন। এর পর হয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে রয়েছেন কার্যকরী সদস্য পদে। এছাড়াও নীল দলের প্যানলে থেকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ২০২৩ সালে জয়লাভ ও করেন তিনি।

২০২৪ সালে হাসিনার পাতানো নির্বাচনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই শিক্ষকের নেতৃত্বে আওয়ামীলিগের পক্ষে গঠিত নির্বাচনী টিমের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন আপেল, এছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে ভোট ক্যাম্পেইনে ও অংশগ্রহণ করেছিলেন বিতর্কিত এই শিক্ষক।

বিগত আওয়ামী প্রশাসনের আমলেও ছিলেন প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ন পদে। শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনে হামলাকরী আওয়ামীপন্থী একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে এসকল শিক্ষকের ছত্রছায়ায় এখন পর্যন্ত কোন বিচারই শুরু করেনি প্রশাসন।

অভিযোগ রয়েছে, এ শিক্ষকের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা ও আবু সাইদ হত্যা মামলায় বহিস্কৃত পলাতক আসামি মো. রফিউল হাসান রাসেল রংপুরের গণেশপুরের রুহুল আমিন নামের এক ব্যাবসায়ীর দোকন বন্ধ করে দেন এবং তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, উপাচার্যের দপ্তরে কোন জরুরি প্রয়োজনে যখনই গিয়েছেন তখনই ড. আপেল মাহমুদকে উপাচার্যের দপ্তরে বসে থাকতে দেখেছেন। একধিক বিএনপি পন্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের উগ্র আওয়ামীপন্থী ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের ভিসির দপ্তরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তারা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল

সংবাদ প্রকাশের পর কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন সেই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক

আপডেট সময় ০৯:৫১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

একটি কমিটি থেকে পদত্যাগ কতলেও বাকি পদগুলোতে বহাল তবিয়তে, বেরোবি আওয়ামী পন্থী শিক্ষক আপেল মাহমুদ

 

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শহীদ আবু সাঈদ বই মেলার কমিটি থেকে সাবেক নীল দলের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আপেল মাহমুদ পদত্যাগ করেছেন। তবে বইমেলার কমিটির থেকে পদত্যাগ করলেও যানবাহন কেনাকাটা কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সহ একাধিক কমিটিতে এখনো বহাল রয়েছে। প্রশাসনের সকল পদ থেকে পদত্যাগ দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

“বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ বইমেলার দায়িত্বে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক!”, এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানায়,বিকেলে শহীদ আবু সাঈদ বইমেলা থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ড. আপেল মাহমুদ।

এদিকে উপাচার্য ড.মোঃ শওকাত আলী সাংবাদিকদের বলেছেন, এ ধরনের কোন লোককে ভবিষ্যতে আমরা আর প্রশাসনের কোন কমিটিতে রাখবো না।

সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.শওকাত আলী নিয়োগের পর পরই ভোল পাল্টে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলামের সহায়তা প্রথমেই নিজের প্রমোশন ভাগিয়ে নেন হিসাব অধ্যাপক ড. আপেল মাহমুদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কট্টোর আওয়ামীপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ড. আপেল মাহমুদ ছাত্র জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ক্যাম্পাসে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েই ২০১৪ সালে নীলদল প্রতিষ্ঠা করে নিজেই সভাপতি হন। এর পর হয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে রয়েছেন কার্যকরী সদস্য পদে। এছাড়াও নীল দলের প্যানলে থেকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ২০২৩ সালে জয়লাভ ও করেন তিনি।

২০২৪ সালে হাসিনার পাতানো নির্বাচনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই শিক্ষকের নেতৃত্বে আওয়ামীলিগের পক্ষে গঠিত নির্বাচনী টিমের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন আপেল, এছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে ভোট ক্যাম্পেইনে ও অংশগ্রহণ করেছিলেন বিতর্কিত এই শিক্ষক।

বিগত আওয়ামী প্রশাসনের আমলেও ছিলেন প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ন পদে। শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষের অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনে হামলাকরী আওয়ামীপন্থী একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে এসকল শিক্ষকের ছত্রছায়ায় এখন পর্যন্ত কোন বিচারই শুরু করেনি প্রশাসন।

অভিযোগ রয়েছে, এ শিক্ষকের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা ও আবু সাইদ হত্যা মামলায় বহিস্কৃত পলাতক আসামি মো. রফিউল হাসান রাসেল রংপুরের গণেশপুরের রুহুল আমিন নামের এক ব্যাবসায়ীর দোকন বন্ধ করে দেন এবং তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, উপাচার্যের দপ্তরে কোন জরুরি প্রয়োজনে যখনই গিয়েছেন তখনই ড. আপেল মাহমুদকে উপাচার্যের দপ্তরে বসে থাকতে দেখেছেন। একধিক বিএনপি পন্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের উগ্র আওয়ামীপন্থী ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের ভিসির দপ্তরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তারা।