কথায় আছে ” যত্ন না করলে রত্ন মেলেনা “। মানুষের একটু সহযোগিতা পেলেই যেকোনো পরিস্থিতিতেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব। তেমনি সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেওয়া কিছু আর্থিক সহায়তায় পাল্টে দিয়েছে ভিক্ষুকদের জীবন।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে
যারা আগে ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত ছিলেন তারা আজ সমাজসেবার পুনর্বাসনে দোকান, ভ্যানগাড়ি গাভী পেয়ে ভালোভাবেই জীবন-যাপন করছেন।
রাউতনগর এলাকার শতবর্ষী কালুয়ানী বালা বলেন, আগে ভিক্ষা করে খেতাম। এখন আর ভিক্ষা করে খায় না। অফিসের(সমাজসেবা)
দেওয়া টাকায় আমার মেয়ে দোকান চালাচ্ছে। এতে আমরা মা-মেয়ে খেয়ে চলতে পারছি।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের সুবিধা পাওয়া নন্দুয়ার ইউনিয়নের মকবুল হোসেন বলেন,এখন বাদাম আর বাড়িতে ছোট একটা দোকানের আয় দিয়ে মোটামুটি ভালোভাবেই চলছি।
একসময় বানর দিয়ে খেলা দেখিয়ে এমনকি ভিক্ষা করে পরিবার চালাইতেন লেহেম্বা ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম। পরবর্তীতে সমাজসেবার দেওয়া টাকায় ভ্যানগাড়ি কিনি এবং ভিক্ষা করা বাদ দেই। এখন সেই চার্জার ভ্যানগাড়ির ইনকাম দিয়েন আমাদের পরিবার ভালো চলছে।
শিক্ষিত সমাজ বলছেন
সাজাইলে হয় ফুলের বাগান, না সাজাইলে হয় জঙ্গল। ঠিক তেমনি কিছু আর্থিক সহায়তা এবং সহযোগিতা পেলেই সমাজের সাথে অবহেলিত মানুষেরা সুন্দরভাবে চলতে পারে। শুধু সরকারি অফিস নই তাদের কথা বিবেচনা করে আমাদেরও এগিয়ে আসা উচিত।
শুধু কালুয়ানী বালা, মকবুল, নজরুল আর বাঁশবাড়ী এলাকার সুনীল রায় নয় অনেক ভিক্ষুককে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে স্বাবলম্বী করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর।
রাণীশংকৈল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, ভিক্ষুকগণ সমাজের বোঝা হয়ে থাকবেন না, যদি তাঁদেরকে পূঁজি দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে সঠিকভাবে তদারকি করা হয়। আমরা আমাদের স্বল্প জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ভিক্ষুকমুক্ত সমাজ গড়তে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। যাকাত বা অন্যানা দানের টাকা বিচ্ছিন্নভাবে দান না করে সমন্বিতভাবে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।