প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে সাত দিনব্যাপী বইমেলা। ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ মেলা আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। এবারের বইমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ও তারুণ্যের ভাসানী সামিট।
বইমেলার বৈচিত্র্য ও বিশেষ আকর্ষণ
বইমেলায় ঘুরে দেখা যায়, বিজ্ঞান, ফিকশন, কর্ম-জীবনী, ধর্মীয় সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বইয়ের সমাহার। দেশীয় লেখকদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশি লেখকের বইও পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে বই কেনার প্রতি, যা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
এ বিষয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন,
“বইমেলায় আসার অন্যতম আনন্দ হলো নিজের ইচ্ছামতো বই কেনার সুযোগ। এটি আমাদের জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে।”
বই পড়ার গুরুত্ব ও পাঠকের প্রতিক্রিয়া
পাঠকদের মতে,
বই পড়া শুধু জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি মননশীলতার বিকাশ ঘটায়।
ফোনের আসক্তি কমিয়ে গভীর মনোযোগ তৈরি করে।
নতুন ভাবনার জন্ম দেয় ও সৃজনশীলতা বাড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বইমেলা শুধু বই কেনার জায়গা নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক মিলনমেলা, যেখানে পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়।
সাংস্কৃতিক আয়োজন ও সমাপনী অনুষ্ঠান
বইমেলার পাশাপাশি রয়েছে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে ইসলামিক সংগীত পরিবেশিত হচ্ছে, পাশাপাশি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যও প্রদান করা হচ্ছে।
১২ই ফেব্রুয়ারি সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বইপ্রেমীদের এ মিলনমেলা। আয়োজকরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন করা হবে।
বইমেলা: কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বইমেলা পাঠক ও লেখকদের সংযোগ ঘটায়।
নতুন প্রকাশিত বই সম্পর্কে সরাসরি জানার সুযোগ দেয়।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলে।
সৃজনশীল আলোচনা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করে।
এমন আয়োজন জ্ঞানচর্চাকে আরও বিস্তৃত করবে, বইপড়ার প্রতি নতুন প্রজন্মকে আগ্রহী করে তুলবে। তাই, এখনও যারা বইমেলায় যাননি, তারা অবশ্যই এসে নিজেদের প্রিয় বই সংগ্রহ করুন এবং জ্ঞানের এই উৎসবে অংশ নিন!