ক্ষমতায় আসার জন্য রাজনীতিতে আসতে হবে আওয়ামী লীগকে।আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে আসতে হলে এর রিফর্ম দরকার।এতদিন আওয়ামী লীগ যেইভাবে চলছে সেইভাবে পরিচালিত হইলে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে গতি পাবে না। এতদিন আওয়ামী লীগের সকল সিদ্ধান্ত নিতেন শেখ হাসিনা,আর তাকে প্রভাবিত করত তার পরিবারের লোকেরা।শেখ পরিবারের লোকজন অঘোষিত রাজ পরিবারের মত আওয়ামী লীগের পদবানিজ্য করত।যেমন যুবলীগের কে কোন পদে যাবে সেইটা নির্ধারন করে দিত শেখ পরশের বউ জ্যোতি। আমরা শুনেছি এখন পরশ ও তার বউ জ্যোতি কানাডায় আছে।কানাডায় বসে বসে এই জ্যোতি দলের বিভিন্ন লোককে যুবলীগে পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।কিছুদিন আগে কানাডা আওয়ামী লীগ একটা অনুষ্ঠান করে যেইখানে তারা পরশ ও জ্যোতিকে আমন্ত্রণই জানায় নাই। সুতরাং আওয়ামী লীগের যারা মতাদর্শিক তৃণমূল পর্যায়ের সাপোর্টার বা নেতাকর্মী তারা শেখ পরিবারের বিশেষত শেখ হাসিনার আত্মীয়দের ঘৃণা করে।এছাড়া নানকের মত নেতারা যদি এখন বাংলাদেশে আসে তাদের আওয়ামী লীগের লোকেরাই তাকে পিঠিয়ে মেরে ফেলবে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে ঘুরে দাঁড়াতে হইলে তার অভ্যন্তরীন গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।আর এইটাই বাস্তবতা।যে সকল নেতারা পালিয়ে গেছে তারা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের ভেতরে খুব একটা দাম পাবে না।যারা এখন জেলে বা বিভিন্নভাবে সক্রিয় বা অর্থনৈতিকভাবে তৃণমূলকে সহায়তা করছে তারাই ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাবে। সুতরাং আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা নিজেও একসময় বুঝতে পারবেন গতানুগতিক পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির দিন শেষ।তাকে দলে অভ্যন্তরীন রিফর্ম আনতে হবে।মোদ্দাকথা তৃণমূল নেতাকর্মীরা যাকে পছন্দ করে তাকেই পদে বসাতে হবে। শিরোনামের প্রশ্নের উত্তর যদি এক কথায় দিতে হয় তাহলে বলতে হয়, আওয়ামী লীগ পুনরায় ফিরে আসবে যদি তার দলীয় কাঠামোতে রিফর্ম নিয়ে আসে।আওয়ামী লীগকে প্রথম তার নিজ দলের তৃণমূলকে কনভিন্স করতে হবে তারপর সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে। আর যদি আওয়ামী লীগ মনে করে ট্রাম্প তাদের ক্ষমতায় বসাবে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে।সকল ক্ষমতার উৎস হলো জনগণ।আর সেই জনগণের কাছেই ক্ষমতার চাবিকাঠি।