ভুক্তভোগি ভিকটিম ৫ বছর বয়সের শিশু এবং স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে ভিকটিম প্রতিদিনের ন্যায় প্রাইভেট পড়ার জন্য বাসার পার্শ্ববর্তী শিক্ষকের কাছে যায়। পরর্বতীতে রাত আনুমানিক ২.০০ ঘটিকায় ভিকটিম বাসায় না আসায় তার পরিবার শিক্ষকের বাসা গেলে জানতে পারেন যে, ভিকটিম শিক্ষকের কাছে আসে নাই। ভিকটিমের পরিবার সম্ভ্যাব সকল স্থানে খোঁজাখুজি করিতে থাকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক ২.৩০মিনিট ঘটিকায় ভিকটিম কাঁদিতে কাঁদিতে মুসলিম পাড়া শ্মশান মাঠের দিক হতে আসে। এসময় ভিকটিমকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাস করলে সে জানায়, জৈনক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তাকে ঝালমুড়ি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে মুসলিম পাড়াস্থ ওমর আলী মেম্বারের স-মিলের দক্ষিণ পাশে শ্মশান মাঠে নিয়া যায় এবং সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানায় মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলার নং-০২, তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/০৩) এর ৯(১)। বর্নিত মামলার বিজ্ঞ আদালত আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
চট্টগ্রাম র্যাব-৭, সূত্রে বর্নিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে চট্টগ্রাম র্যাব-৭, এর একটি টিম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত -২ ফেব্রুযারি ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ৫.১৫ মিনিট ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৩১), পিতা- আবুল কাশেম কারিগর, সাং-মুসলিমপাড়া, থানা- মানিকছড়ি, জেলা-খাগড়াছড়ি’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করত সূত্রে বর্নিত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে মামলার রুজু হওয়ার পর হতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ৬ বছর চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।