ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মোহনগঞ্জে ধনু নদে জেলের জালে ধরা পড়ল  ৬৬ কেজির বাঘাইর ভালুকায় ঋতুরাজ বসন্তে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শিমুল ববি’তে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ সিআরসি ফাউন্ডেশনের গণমাধ্যম সপ্তাহের আগে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়েছে বিএমএসএফ বগুড়ার কাহালু উপজেলার একই গ্রামে দুই শিশু ধর্ষণ ঘটনার অভিযুক্ত আসামী নুরুল ইসলাম নূর গ্রেফতার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার ফরিদপুরের সালথা থানার বাহিরদিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে কুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৃহত্তর ঐক্য যেন নষ্ট না হয়: মাহবুব মোর্শেদ রংপুরে ব্রাকেট বিহীন জাসদ গড়তে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গোয়াইনঘাটের বঙ্গবীর পয়েন্টে কনস্টেবল বক্করের প্রটোকলে চলছে চোরাচালান

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ০৬:১৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ব্যবসা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে,রাত নামলেই গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী রুস্তুমপুর ইউপি সীমান্ত দিয়ে খরস্রোতে নদীর কচুরিপনার মত ভেসে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় কসমেটিকস,গরু মহিষ,চিনিসহ চোরাই বিভিন্ন পন্য।

বঙ্গবীর পয়েন্ট দিয়ে পুলিশ পাহাড়ায় প্রতিদিন রাতের আধারে ভারতীয় অবৈধ চিনি,মদ,মহিষ,কসমেটিকস,
ফেনসিডিল,পাথর,বালুসহ অবৈধ পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বিঘ্নে পাচার হচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানায় যায়,গোয়াইনঘাটের থানা পুলিশের ভুমিকা রয়েছে রহস্যজনক,যার কারনে রাতের আঁধারে সীমান্ত এলাকা থেকে ভারত থেকে আসা অবৈধ পণ্য ট্রাকে পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন জাগায়।

প্রতি দিন সন্ধ্যা হলেই সীমান্তবর্তী রুস্তুমপুর ইউপি এলাকায় চোরাচালানীদের অভাধ বিচরন দেখা মিলে। স্থানীয় জনসাধারণ সঙ্গে কথা বলে জানাযায় সীমান্তের এলাকার গ্রামের মেঠোপথ গুলো চোরাচালানকারীরা নিরাপদ রোড় হিসাবে ব্যাবহার করে।

চোরাচালানিরা এলাকার প্রতাভশালীও বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ব্যাক্তি হওয়াতে এলাকার লোকজন ভয়ে কিছু বলতে পারে না,

গত ৫ই আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের জেরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে কিছুদিন বন্ধ ছিল সীমান্তের চোরাচালান।

বেশ কিছুদিন যাবৎ থেকে আবারও তৎপরতা শুরু হয়েছে, এবং চলছে নতুন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লাইনম্যান সিন্ডিকেট নিয়োগের তৎপরতা।

যার কারনে রাতের আঁধারে সীমান্ত এলাকা থেকে ভারত থেকে আসা অবৈধ পণ্য ট্রাকে পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন জাগায়।

স্থানীয়রা বলেছেন এসব চোরাচালানে সরাসরি গোয়াইনঘাট থানা ওসির পছন্দের মানুষ পুলিশ কনস্টেবল বক্কর।

স্থানীয়দের তথ্য মতে পুলিশ প্রতি চিনির গাড়ি থেকে ১০,০০০/- টাকা,মহিষ থেকে ২,০০০/-টাকা এবং অন্যান্য মাদক,কসমেটিকস থেকে ১,৫০০/- টাকা করে চাঁদা নিয়ে কম দিনে একেকজন হয়ে গেছেন লাখপতি। তাদের এহেন কর্মকাণ্ডে ঐ রাস্তাদিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী ডিআই পিক-আপ বেপরোয়া হয়ে উঠছে এবং প্রতিদিন রোড এক্সিডেন্টে মারা যাচ্ছেন স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা।গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের ২ জন ছাত্র রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় এবং একজন মহিলা ও নবজাতক শিশু আহত হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের বার বার চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বললে বিষয়টি কোনভাবেই দেখে ও না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলছেন। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা এই চোরাচালান মাঝেমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে চিনি ভর্তি গাড়ী, ভারতীয় গরুসহ ডি-আই, পিক-আপ গাড়ী আটকের খবর পাওয়া যায়,

কিন্তু আটককৃত গরুর ক্রয়কৃত রশিদ নিয়ে থানায় গেলেও বৈধতা পায় না রশিদটি, ক্রেতা ইজারদার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের দায়সারা উত্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীমান্তে এলাকা ভিত্তিক একাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন করে নিয়োগ দেওয়া হয় লাইনম্যান ।

ওই লাইনম্যান এক একটি করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। সেই সিন্ডিকেটের কোনো সদস্য বিজিবির গতিবিধি বা অবস্থান লক্ষ্য করেন।

বিজিবি এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় টহলে গেলেই তারা সীমান্তে গিয়ে মাদক, ভারতীয় গরু, মহিষ, চিনি, কসমিটিকস,কিটসহ বিভিন্ন আমদানী নিষিদ্ধ পন্য নিয়ে আসে।সেই গরু, চিনি সহ অন্যান্য পন্য আনতে গিয়ে ভারতীয় খাসিয়াদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে একের পর এক বাংলাদেশি নাগরিক ।

বিনিময়ে মাদক ও গরু ব্যবসায়ীদের ওই সিন্ডিকেটকে গরু প্রতি কমিশন দিতে হয়।পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সেই টাকা তুলে থাকেন কথিত লাইনম্যানরা।

এ ব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানার ওসির মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে ব্যাস্ত পাওয়া যায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মোহনগঞ্জে ধনু নদে জেলের জালে ধরা পড়ল  ৬৬ কেজির বাঘাইর

গোয়াইনঘাটের বঙ্গবীর পয়েন্টে কনস্টেবল বক্করের প্রটোকলে চলছে চোরাচালান

আপডেট সময় ০৬:১৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ব্যবসা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে,রাত নামলেই গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী রুস্তুমপুর ইউপি সীমান্ত দিয়ে খরস্রোতে নদীর কচুরিপনার মত ভেসে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় কসমেটিকস,গরু মহিষ,চিনিসহ চোরাই বিভিন্ন পন্য।

বঙ্গবীর পয়েন্ট দিয়ে পুলিশ পাহাড়ায় প্রতিদিন রাতের আধারে ভারতীয় অবৈধ চিনি,মদ,মহিষ,কসমেটিকস,
ফেনসিডিল,পাথর,বালুসহ অবৈধ পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বিঘ্নে পাচার হচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানায় যায়,গোয়াইনঘাটের থানা পুলিশের ভুমিকা রয়েছে রহস্যজনক,যার কারনে রাতের আঁধারে সীমান্ত এলাকা থেকে ভারত থেকে আসা অবৈধ পণ্য ট্রাকে পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন জাগায়।

প্রতি দিন সন্ধ্যা হলেই সীমান্তবর্তী রুস্তুমপুর ইউপি এলাকায় চোরাচালানীদের অভাধ বিচরন দেখা মিলে। স্থানীয় জনসাধারণ সঙ্গে কথা বলে জানাযায় সীমান্তের এলাকার গ্রামের মেঠোপথ গুলো চোরাচালানকারীরা নিরাপদ রোড় হিসাবে ব্যাবহার করে।

চোরাচালানিরা এলাকার প্রতাভশালীও বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ব্যাক্তি হওয়াতে এলাকার লোকজন ভয়ে কিছু বলতে পারে না,

গত ৫ই আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের জেরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে কিছুদিন বন্ধ ছিল সীমান্তের চোরাচালান।

বেশ কিছুদিন যাবৎ থেকে আবারও তৎপরতা শুরু হয়েছে, এবং চলছে নতুন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লাইনম্যান সিন্ডিকেট নিয়োগের তৎপরতা।

যার কারনে রাতের আঁধারে সীমান্ত এলাকা থেকে ভারত থেকে আসা অবৈধ পণ্য ট্রাকে পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন জাগায়।

স্থানীয়রা বলেছেন এসব চোরাচালানে সরাসরি গোয়াইনঘাট থানা ওসির পছন্দের মানুষ পুলিশ কনস্টেবল বক্কর।

স্থানীয়দের তথ্য মতে পুলিশ প্রতি চিনির গাড়ি থেকে ১০,০০০/- টাকা,মহিষ থেকে ২,০০০/-টাকা এবং অন্যান্য মাদক,কসমেটিকস থেকে ১,৫০০/- টাকা করে চাঁদা নিয়ে কম দিনে একেকজন হয়ে গেছেন লাখপতি। তাদের এহেন কর্মকাণ্ডে ঐ রাস্তাদিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী ডিআই পিক-আপ বেপরোয়া হয়ে উঠছে এবং প্রতিদিন রোড এক্সিডেন্টে মারা যাচ্ছেন স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা।গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের ২ জন ছাত্র রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় এবং একজন মহিলা ও নবজাতক শিশু আহত হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের বার বার চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বললে বিষয়টি কোনভাবেই দেখে ও না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলছেন। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছেনা এই চোরাচালান মাঝেমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে চিনি ভর্তি গাড়ী, ভারতীয় গরুসহ ডি-আই, পিক-আপ গাড়ী আটকের খবর পাওয়া যায়,

কিন্তু আটককৃত গরুর ক্রয়কৃত রশিদ নিয়ে থানায় গেলেও বৈধতা পায় না রশিদটি, ক্রেতা ইজারদার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের দায়সারা উত্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীমান্তে এলাকা ভিত্তিক একাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন করে নিয়োগ দেওয়া হয় লাইনম্যান ।

ওই লাইনম্যান এক একটি করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। সেই সিন্ডিকেটের কোনো সদস্য বিজিবির গতিবিধি বা অবস্থান লক্ষ্য করেন।

বিজিবি এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় টহলে গেলেই তারা সীমান্তে গিয়ে মাদক, ভারতীয় গরু, মহিষ, চিনি, কসমিটিকস,কিটসহ বিভিন্ন আমদানী নিষিদ্ধ পন্য নিয়ে আসে।সেই গরু, চিনি সহ অন্যান্য পন্য আনতে গিয়ে ভারতীয় খাসিয়াদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে একের পর এক বাংলাদেশি নাগরিক ।

বিনিময়ে মাদক ও গরু ব্যবসায়ীদের ওই সিন্ডিকেটকে গরু প্রতি কমিশন দিতে হয়।পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সেই টাকা তুলে থাকেন কথিত লাইনম্যানরা।

এ ব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানার ওসির মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে ব্যাস্ত পাওয়া যায়।