চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদের আতঙ্কের নাম ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতি নামে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ধরা না পড়লেও এবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ৬ জন গত ২৭ শে জানুয়ারি ২০২৫ইং তারিখ ৮.২০ মিনিট ঘটিকার সময় বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ আরিফুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন কুলগাঁও খলিল শাহ মাজার সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড় ইউসুফের বাড়ীর ২য় তলায় (উত্তর পাশের শেষ রুম) অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির প্রস্তত্তিকালে আসামী ১। মোঃ আসিফ (২২), ২। মোঃ হাসান (২০), ৩। মোঃ ফয়সাল (১৯), ৪। মোঃ আজিম উদ্দিন (২৩), ৫। মোঃ রিফাদ (১৯), ৬। মোঃ জুয়েল (২০) তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। সাজ্জাদ কে বাগে আনতে অভিযান চলমান রেখেছে পুলিশ।
২৮ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার রইছ উদ্দিন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে সাংবাদিকদের। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মূলত বায়েজিদ এলাকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এই ৬ জনকে গ্রেফতার অভিযানের খবর পেয়ে আরও ৩ থেকে ৪ জন পালিয়েছে। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আসিফ নামে যে ডাকাত রয়েছে সে হলো অন্যদের সর্দার। ওই এলাকায় তার নেতৃত্বেই ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিলো।
সাজ্জাদকে কেন গ্রেফতার করা যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন বলেন, অতি সম্প্রতি সাজ্জাদকে গ্রেফতার করেই ফেলেছিলাম। কিন্তু সে পুলিশের ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তার ব্যাপারে সবসময় সক্রিয় রয়েছে। ইতিপূর্বে তাকে গ্রেফতার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় জেলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তার ওপর প্রসাশনের নজরদারি রয়েছে। যে কোন উপায়ে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার কিতো ডাকাতদের কাছ থেকে একটি দেশিও এলজি, ড্রিল মেশিন, কাটার মেশিন, কিরিচ সহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু মোবাইল পাওয়া গেছে। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ এটিএম কার্ড পাওয়া গেছে। তাদের মূল হোতা এবং ডাকাতির কার্যক্রমের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে