তুরস্ক ও মেক্সিকোতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। পৃথিবীর দুই প্রান্তের এই দুই দেশে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ বা তারও বেশি। অন্যদিকে বুধবার (২৩ নভেম্বর) ভোর রাতে ভারতের মহারাষ্ট্রেও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।
অবশ্য এসব ভূমিকম্পের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং এএনআই।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬। ইউরোপিয়ান-মেডিটেরিনিয়ান সিমোলজিক্যাল সেন্টারের (ইএমএসসি) জানিয়েছে, বুধবার তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২ কিলোমিটার (১.২৪ মাইল) গভীরে ছিল বলেও জানিয়েছে ইএমএসসি।
এদিকে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে মঙ্গলবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.২। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে ৬.২ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ইউএসজিএস আরও জানিয়েছে, বাজা ক্যালিফোর্নিয়ার লাস ব্রিসাসের পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (১৮.৬ মাইল) দূরে ভূপৃষ্ঠের ১৯ কিলোমিটার (১২ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে।
অন্যদিকে বুধবার ভোর রাতে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে মাঝারি মানের ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৩.৬। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে, বুধবার ভোররাতে মহারাষ্ট্রের নাসিকের কাছে রিখটার স্কেলে ৩.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এনসিএস’র দেওয়া তথ্য অনুসারে, নাসিকের ৮৯ কিলোমিটার পশ্চিমে ভোর ৪ টার দিকে ভূপৃষ্ঠের নিচে টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়া অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির ৫ কিলোমিটার নিচে।
উল্লেখ্য, দিন দু’য়েক আগেই বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে মৃতের সংখ্যা আড়াইশো ছাড়িয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও দেড় শতাধিক মানুষ।
ব্যাপক প্রাণঘাতী এই ভূমিকম্পে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।