ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিঠাপুকুরে এমপিএইসভিওয়ের ১১তম বর্ষে পদার্পন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মঠবাড়িয়া আসনে লড়তে চান ক্যানাডা প্রবাসী ব্যারিস্টার আলমগীর বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা মঠবাড়িয়ার দাউদখালী ইউনিয়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফসলের সাথে শত্রুতা, ১১ বিঘা আলু গম সরিষা হালচাষ দিয়ে নষ্ট করলো প্রতিপক্ষ ইসলামী দলগুলোকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় গেছে আ.লীগ: চরমোনাই পীর উচাই কৃষি কলেজে নবীন-বরণ জাফলং পিয়াইন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২৪ এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত নাটোরের বড়াইগ্রাম সময় টিভির অফিশিয়াল স্টাফ রিপোর্টার এর বাড়িতে আগুনে লেগে এক শিশুর মৃত্যু ইসলামীক জঙ্গিদের নিশানায় হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল আর‌এস‌এস

মেলান্দহে ওরশের নামে চলছে মাদকের আসর

জামালপুরের মেলান্দহে গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ওরশের নামে প্রকাশ্য চলছে মাদক সেবন ও বেচাকেনা‌। উপজেলার দুরমুট ইউনিয়নের সুরুলিয়া এলাকায় মা বারই রানী (রহঃ) মাজারে ৪৩তম ওরস মোবারকে এ চিত্র দেখা যায়। তবে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এসব মাদক সেবন ও বেচাকেনা‌ বিষয় জেনেও নিরব আছে বলে অভিযোগ সচেতন নাগরিকদের।

১৫(ডিসেম্বর ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুরুলিয়া এলাকায় হযরত শাহ কামাল ইয়ামেনী (রহ.) এর স্ত্রী মা বারই রানী (রহ) ইয়েমেনীর মাজার অবস্থিত। এই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলাকে কেন্দ্র করেই মাজারের আশপাশে বসে বিভিন্ন দোকান। তবে মেলায় আসা ভক্তদের দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা। এবার মেলায় ভক্তদের শতাধিক গাঁজার দোকান রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এই মেলার জন্য এই এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। কিছু প্রভাবশালী মানুষ মেলার নামে গাঁজার জমজমাট ব্যবসা করছে। ওরসের নাম নিয়ে এখানে মাদক ব্যবসা করে টাকা কামানোয় তাদের আসল উদ্দেশ্য।

এসব বিষয়ে মাজারে ওরস পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লিখনুজ্জামান লিখনের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মাজার এভাবেই চলে। পূর্বেও এভাবেই চলছে। এবারও তাই চলবে। পাগলের ওরসে গাঁজা চলেই। এখানে ডিএসবির লোক আছে, প্রশাসনের লোক আছে, সব লোক আছে। ওনাদের সম্মতি নিয়েই সরাসরি চলতাছে। ইউএনও, ডিসি, এসপি, ওসির রেফারেন্সে চলে অনুমতিক্রমে।
ওই ইউনিয়নের বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা মেলান্দহ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম হিমন জানান, ওখানে দু-তিন জন গিয়ে অভিযান চালানো সম্ভব না। ওখানে সবাই পাগল। অভিযানে কম লোক গেলে আক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একা সেখানে গেলে বেঁধে মারতেও পারে। অভিযানে ২০-২৫ জনের টিম অংশ নিতে হবে।

জামালপুর সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কমিটির সভাপতি মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘ওরস মেলার নামে এভাবে প্রকাশ্যে মাদক সেবন বন্ধ না হলে যুবসমাজ ও শিক্ষার্থীরা মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়বে। মেলায় মাদক সেবন ও বিক্রির বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাই জানলেও কেন অভিযান পরিচালনা হচ্ছে না জানা নাই। দ্রুত অভিযান করে এসব বন্ধ করার দাবি জানাই।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান জানান, ওরসে মাদক চলে জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তা নিয়ে অভিযান চালানো হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিঠাপুকুরে এমপিএইসভিওয়ের ১১তম বর্ষে পদার্পন

মেলান্দহে ওরশের নামে চলছে মাদকের আসর

আপডেট সময় ১১:০৮:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

জামালপুরের মেলান্দহে গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ওরশের নামে প্রকাশ্য চলছে মাদক সেবন ও বেচাকেনা‌। উপজেলার দুরমুট ইউনিয়নের সুরুলিয়া এলাকায় মা বারই রানী (রহঃ) মাজারে ৪৩তম ওরস মোবারকে এ চিত্র দেখা যায়। তবে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এসব মাদক সেবন ও বেচাকেনা‌ বিষয় জেনেও নিরব আছে বলে অভিযোগ সচেতন নাগরিকদের।

১৫(ডিসেম্বর ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুরুলিয়া এলাকায় হযরত শাহ কামাল ইয়ামেনী (রহ.) এর স্ত্রী মা বারই রানী (রহ) ইয়েমেনীর মাজার অবস্থিত। এই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলাকে কেন্দ্র করেই মাজারের আশপাশে বসে বিভিন্ন দোকান। তবে মেলায় আসা ভক্তদের দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা। এবার মেলায় ভক্তদের শতাধিক গাঁজার দোকান রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এই মেলার জন্য এই এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। কিছু প্রভাবশালী মানুষ মেলার নামে গাঁজার জমজমাট ব্যবসা করছে। ওরসের নাম নিয়ে এখানে মাদক ব্যবসা করে টাকা কামানোয় তাদের আসল উদ্দেশ্য।

এসব বিষয়ে মাজারে ওরস পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লিখনুজ্জামান লিখনের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মাজার এভাবেই চলে। পূর্বেও এভাবেই চলছে। এবারও তাই চলবে। পাগলের ওরসে গাঁজা চলেই। এখানে ডিএসবির লোক আছে, প্রশাসনের লোক আছে, সব লোক আছে। ওনাদের সম্মতি নিয়েই সরাসরি চলতাছে। ইউএনও, ডিসি, এসপি, ওসির রেফারেন্সে চলে অনুমতিক্রমে।
ওই ইউনিয়নের বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা মেলান্দহ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম হিমন জানান, ওখানে দু-তিন জন গিয়ে অভিযান চালানো সম্ভব না। ওখানে সবাই পাগল। অভিযানে কম লোক গেলে আক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একা সেখানে গেলে বেঁধে মারতেও পারে। অভিযানে ২০-২৫ জনের টিম অংশ নিতে হবে।

জামালপুর সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কমিটির সভাপতি মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘ওরস মেলার নামে এভাবে প্রকাশ্যে মাদক সেবন বন্ধ না হলে যুবসমাজ ও শিক্ষার্থীরা মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়বে। মেলায় মাদক সেবন ও বিক্রির বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সবাই জানলেও কেন অভিযান পরিচালনা হচ্ছে না জানা নাই। দ্রুত অভিযান করে এসব বন্ধ করার দাবি জানাই।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান জানান, ওরসে মাদক চলে জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তা নিয়ে অভিযান চালানো হবে।