ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সামরিক আইন জারি: সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারি করায় তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।  অবশ্য পরে চাপে পড়ে তা প্রত্যাহারের ঘোষণাও দেন তিনি।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ইউন বলেন, ‘দেশে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’

ভাষণে প্রেসিডেন্ট উইন আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তাদের অসুবিধায় ফেলেছিল। ’

তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণার ফলে যে কোনও আইনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দায় আমি এড়াতে পারি না। মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে যে আরেকবার সামরিক আইন জারি করা হবে কিনা; তবে আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে এটা বলতে পারি যে, আরেকবার সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হবে না।’

বিরোধীদের দাবির মুখে, ধারণা করা হচ্ছিল এই ভাষণে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিবেন। কিন্তু তা না করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার দায়িত্ব ক্ষমতাসীন দলকে অর্পণ করবেন। অভিশংসন বিষয়েও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।

তবে বিরোধীরা বলছেন, অনেক দেরি করে ফেলেছেন ইউন সুক-ইওল।  প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে আজ শনিবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।

মনে করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদ ধরে রাখতে ইউন সুক-ইওলের ক্ষমা চাওয়াই এখন আর যথেষ্ট নয়।  পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হলে, তাকে এখন স্বেচ্ছায় আগে পদত্যাগ করতে হতে পারে, না হয় অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গুলশান-বাড্ডা এলাকায় তিনজনকে কুপিয়ে বিপুল টাকা-ডলার-ইউরো ছিনতাই

সামরিক আইন জারি: সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় ০১:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

গত মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারি করায় তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।  অবশ্য পরে চাপে পড়ে তা প্রত্যাহারের ঘোষণাও দেন তিনি।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ইউন বলেন, ‘দেশে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’

ভাষণে প্রেসিডেন্ট উইন আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তাদের অসুবিধায় ফেলেছিল। ’

তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণার ফলে যে কোনও আইনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দায় আমি এড়াতে পারি না। মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে যে আরেকবার সামরিক আইন জারি করা হবে কিনা; তবে আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে এটা বলতে পারি যে, আরেকবার সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হবে না।’

বিরোধীদের দাবির মুখে, ধারণা করা হচ্ছিল এই ভাষণে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিবেন। কিন্তু তা না করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার দায়িত্ব ক্ষমতাসীন দলকে অর্পণ করবেন। অভিশংসন বিষয়েও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।

তবে বিরোধীরা বলছেন, অনেক দেরি করে ফেলেছেন ইউন সুক-ইওল।  প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে আজ শনিবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।

মনে করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদ ধরে রাখতে ইউন সুক-ইওলের ক্ষমা চাওয়াই এখন আর যথেষ্ট নয়।  পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হলে, তাকে এখন স্বেচ্ছায় আগে পদত্যাগ করতে হতে পারে, না হয় অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।