জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জড়িত অপরাধমূলক ক্রিয়াকলাপের অংশ না বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রীর আইনজীবী। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুবিধা নেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় মামলা করা যেতে পারে। কিন্তু জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ ছিলেন না; তাই তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা যায় না। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিল্লি হাইকোর্টে যুক্তি দিলেন অভিনেত্রীর আইনজীবী।
এখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে তাদের আনা আর্থিক প্রতারণা মামলা নিয়ে নিজেদের যুক্তি পেশ করবে আালতের সামনে। বিচারপতি অনীশ দয়াল ইডির বিশেষ পরামর্শদাতার জমা দেওয়া বক্তব্য শোনার জন্য বিষয়টি তালিকাভুক্ত করেছেন। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৩ ডিসেম্বর।
এদিকে জ্যাকুলিনের আইনজীবীরা সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ আগরওয়াল, আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল এবং শক্তি পাণ্ডে সওয়াল করেন। আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জোহেব হোসেন।
একজন প্রবীণ আইনজীবী বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি অপরাধমূলক কার্যকলাপ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন করে, যা একটি তফসিলভুক্ত অপরাধ, তখন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার জন্য মামলা করা যেতে পারে। জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ ছিলেন না।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে তিনি যে উপহার পেয়েছিলেন, তা যে ২০০ কোটি টাকার অপরাধ থেকে এসেছে তা তিনি জানতেন না। অদিতি সিং এফআইআর নথিভুক্ত করার পর তোলাবাজির অপরাধটি প্রকাশ্যে আসে।
জ্যাকুলিনের নামে ইডির আনা অভিযোগ— জেনেশুনেই নিজেকে এই কনম্যানের সঙ্গে যুক্ত করেন অভিনেত্রী, আর্থিক সুবিধা নেন। এবং বেশ কয়েকবার ইচ্ছে করে ভুল তথ্য দিয়ে মামলা বিপথে চালানোরও চেষ্টা করেছেন। এমনকি দুজনে প্রেম সম্পর্কে ছিলেন এমনটাও উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। দুজনের ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু ছবিও ভাইরাল হয়েছে নানা সময়ে। একটিতে তো আবার জ্যাকুলিনের গালে ও ঘাড়ের কাছে লাভ বাইটও দেখা গিয়েছিল। সেই ছবিটিও ছিল বিছানায় নেওয়া একটি সেলফি, তাতে অভিনেত্রীর সঙ্গে ফ্রেমবন্দি ছিলেন সুকেশও। কিন্তু অভিনেত্রী সুকেশের সঙ্গে সম্পর্ক বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। ভুয়া পরিচয়ে তার সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিল এ প্রতারক বলেও জানান তিনি।