ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় শিশু শ্রমিকের মৃত্যু : হাইকোর্টের তদন্তের নির্দেশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কল্যাণ স্টিল অ্যান্ড অটবি লিগার ফার্নিচার মার্ট কারখানা আইন বর্হিভূতভাবে পরিচালনা ও শিশু শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কল্যাণ স্টিল অ্যান্ড অটবি লিগার ফার্নিচার মার্ট কারখানাটি আইন বর্হিভূতভাবে পরিচালনা করায় তদন্ত সাপেক্ষে তা বন্ধ করতে আবেদন করে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিন মাসের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুরের বিভাগীয় কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। 

রোববার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

এর আগে গত ২২ মে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন কোমরপুর বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে হাঁসবাড়ী রোডে অবস্থিত কারখানাটি আইনবর্হিভূতভাবে পরিচালনা করায় তদন্ত সাপেক্ষে তা বন্ধ করতে আবেদন করেন মো. আরিফুল ইসলাম। পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুরের বিভাগীয় কার্যালয়কে এ আবেদন দেওয়া হয়।

আবেদনে বলা হয়, গত বছর থেকে পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন অবস্থায় এবং কলকারখানা আইন শ্রম আইন অনুসরণ করা হয় না কারখানায়। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৫০ জন শিশু শ্রমিক কর্মরত থাকলেও অদ্যবধি শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপ-পরিচালক শ্রম অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চল থেকে শিশু শ্রম বন্ধের পদক্ষেপ নেয়নি।

কল্যাণ স্টিল অ্যান্ড অটবি লিগার ফার্নিচারের মালিক আব্দুস ছালাম মধ্যরামচন্দ্রপুর মৌজার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবু রায়হানকে (৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র) শিশু শ্রমের কাজে লাগায়। সে ফার্নিচার সেটিংয়ের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে গত ৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করে। স্থানীয় জনগণের চাপে রায়হানের বাবা তৌহিদুল ইসলামকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্বেও এখন পর্যন্ত দেননি। কারখানাটি আইন বহির্ভূত, শ্রমনীতি বহির্ভূত, শিশু শ্রম দ্বারা পরিচালিত, আয়করসহ ভ্যাট না দিয়ে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত করায় বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। তারপরও প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ৩১ অক্টোবর রিট করেন অ্যাডভোকেট এস এম হারমুজ আহমেদ ও আরিফুল ইসলাম।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় শিশু শ্রমিকের মৃত্যু : হাইকোর্টের তদন্তের নির্দেশ

আপডেট সময় ১০:১৮:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কল্যাণ স্টিল অ্যান্ড অটবি লিগার ফার্নিচার মার্ট কারখানা আইন বর্হিভূতভাবে পরিচালনা ও শিশু শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কল্যাণ স্টিল অ্যান্ড অটবি লিগার ফার্নিচার মার্ট কারখানাটি আইন বর্হিভূতভাবে পরিচালনা করায় তদন্ত সাপেক্ষে তা বন্ধ করতে আবেদন করে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিন মাসের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুরের বিভাগীয় কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। 

রোববার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

এর আগে গত ২২ মে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন কোমরপুর বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে হাঁসবাড়ী রোডে অবস্থিত কারখানাটি আইনবর্হিভূতভাবে পরিচালনা করায় তদন্ত সাপেক্ষে তা বন্ধ করতে আবেদন করেন মো. আরিফুল ইসলাম। পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুরের বিভাগীয় কার্যালয়কে এ আবেদন দেওয়া হয়।

আবেদনে বলা হয়, গত বছর থেকে পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন অবস্থায় এবং কলকারখানা আইন শ্রম আইন অনুসরণ করা হয় না কারখানায়। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৫০ জন শিশু শ্রমিক কর্মরত থাকলেও অদ্যবধি শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপ-পরিচালক শ্রম অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চল থেকে শিশু শ্রম বন্ধের পদক্ষেপ নেয়নি।

কল্যাণ স্টিল অ্যান্ড অটবি লিগার ফার্নিচারের মালিক আব্দুস ছালাম মধ্যরামচন্দ্রপুর মৌজার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আবু রায়হানকে (৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র) শিশু শ্রমের কাজে লাগায়। সে ফার্নিচার সেটিংয়ের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে গত ৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করে। স্থানীয় জনগণের চাপে রায়হানের বাবা তৌহিদুল ইসলামকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্বেও এখন পর্যন্ত দেননি। কারখানাটি আইন বহির্ভূত, শ্রমনীতি বহির্ভূত, শিশু শ্রম দ্বারা পরিচালিত, আয়করসহ ভ্যাট না দিয়ে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত করায় বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। তারপরও প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ৩১ অক্টোবর রিট করেন অ্যাডভোকেট এস এম হারমুজ আহমেদ ও আরিফুল ইসলাম।