গত ০৪ আগস্ট রাত ১১ ঘটিকায় কাশিমপুর কারাগারে এক নারীকে নিয়ে আমোদ ফুর্তি করা অবস্থায় আটক হন সর্বপ্রধান কারারক্ষী আজিজুল ইসলাম। তার অবৈধ কর্মকাণ্ড হাতেনাতে ধরে ফেলে সাধারণ কারারক্ষীরা। কিন্তু ঘটনার ২ মাস পার হলেও সামান্যা বলদি আদেশ দিয়েই হাত গুটিয়ে বসেছে কারা প্রশাসন। চাক্ষুষ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আজিজুলের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছেনা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
আমাদের মাতৃভূমি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা যায়, আজিজুলের নারী কেলেঙ্কারি ঘটনাটি কয়েক বার কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করা হলেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। বরং অপরাধীর সুবিধামতো স্থানে বদলি করে পুরস্কৃত করে কারা কর্তৃপক্ষ। আর এই সুযোগে আজিজুল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। ইতোমধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট টু-এর জেল সুপার আমিরুল ইসলাম ও জেলার শাহাদাৎ হোসেনকে ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার তথ্য আসে আমাদের মাতৃভূমির হাতে। এ নিয়ে সাধারণ কারারক্ষীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা কাশিমপুর কারাগার এলাকার ব্যানার পেস্টুনে লম্পট সর্বপ্রধান কারারক্ষী আজিজুল ইসলামের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে।
এছাড়াও সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম ও জেলার শাহাদাৎ হোসেনের অনৈতিক ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে আইজি প্রিজন এবং সরকারের উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন কারা কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা।