মতলব দক্ষিন আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদ রহমান, পিতা,হাবিবুর রহমান, মাতা, নুরন্নাহার বেগম, গ্রাম কলাদী,থানা,মতলব দক্ষিন এলাকার বাসিন্দা । বিকাশ এজেন্ট মালিক আজাদের অফিসে বিগত ৬ বছর ধরে মতলব উওর রসুলপুর গ্রামের মো: আল আমিন,পিতা ইয়াছিন মিয়া, ডি এস ও হিসাবে চাকুরি করে আসছেন। প্রতিদিনের মত আল আমিন গত ২৭/ ০৮/২০২৪ তারিখে বাড়ী থেকে অফিসে আসেন। এর পর থেকে আল আমিন বাড়ীতে ফিরে আসে নাই। আল আমিনের পিতা ইয়াছিন মিয়া তাহার আত্বীয় সজনের বাড়িতে খোঁজেন । ছেলের খোঁজে বাবা-মা ছেলের অফিসে খোঁজ নিতে গেলে আজাদ রহমান তাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে বিদায় করেন। এরপর গত ০১/০৯/২০২৪ তারিখে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদসহ ৫/৬ জন লোক আল আমিনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার বাবা মাকে অস্ত্র দেখিয়ে জিম্মি করে জোর পুর্বক তাদের বাড়ি ঘরের দলিলপত্র নিয়ে নেয় এবং ৯/১০ টি অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নেয় এবং হুমকি দিয়ে যায় এই বলে যে তাদের ছেলে আলামিন তার ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে ।
এই ঘটনা কাউকে জানানো হলে তার ছেলে এবং তাদেকে হত্যা করে লাশ গুম করা হবে। যেহেতু তাদের আলাদা বাড়ী এই বাড়ীতে অন্য অন্য কোন শরিক বাস করে না তাই তারা কাউকে জানাতে পারে নাই। আল আমিনের কোন খোঁজ না পেয়ে গত ০৫/০৯/২৪ তারিখে মতলব উওর থানায় গিয়ে তদন্ত ওসির নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ টি তদন্ত করতে এস আই মিজান উর রহমান (মিজান-৪) দেখবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন।
এস আই মিজান -৪ তাদের অভিযোগের তদন্তের শর্তে ইয়াছিন মিয়ার কাছে একলক্ষ টাকা দাবি করেন। এবং টাকা না দিলে অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না বলেও উপপরিদর্শক মিজান -৪ জানিয়ে দেন। গত ২৪/০৯/২০২৪ তারিখে ইয়াছিন মিয়া চাঁদপুর মোকাম বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আদালতে বাদী হয়ে ৯৮ ধারায় একটি সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যু করান। । উক্ত সাচ ওয়ারেন্ট মতলব দক্ষিন থানায় গেলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ রহমান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে টাকার বিনিময় পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজনকে ম্যানেজ করে ইয়াছিন মিয়াকে বাড়ী থেকে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি এবং তাড়াতাড়ি জমি লিখে দেওয়ার হুমকি দেন।
আলামিনের পরিবারের দাবি সে যদি আজাদ রহমানের টাকা নিয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই তার কাছে কোন প্রমাণ থাকবে কিন্তু তিনি সেই ধরনের কোন প্রমাণ দেখাতে পারছেন না। এবং আলামিনের পরিবারের দাবি আল আমিন কিডনাপ হতে পারে এবং এই কিডনাপের সাথে আজাদ রহমান জড়িত থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে । আল আমিনের বাবা মার দাবি আমার ছেলে যদি তার টাকা নিয়ে থাকে তবে কেন এত দিন হয়ে যাওয়ার পর আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেননা। আমরা গরীব মানুষ আমাদের বাড়ীঘর জমি লিখে নিতে চায়। আজাদ রহমান রসুলপুর গ্রামের মানুষকে টাকার বিনিময়ে আমাদের বিপক্ষে অবস্থান করিয়ে আমাদের জমি জোর করে লিখে নিতে চায়।
উল্লেখ্য, আজাদ রহমান আলামিনের বিরুদ্ধে মামলা না করার রহস্য কি ! এবং আলামিনের পিতা ইয়াসিন মিয়া একজন সহজ সরল মানুষ বিধায় আজাদ জমিন লিখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। উপরন্ত থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে ইয়াসিন মিয়াকে ভয় দেখাইয়া আসছে।