১৪ বছর আগে চাকুরী হয় এই কাস্টমস অফিস পিয়ন কাওসারের। বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয় কাস্টমস, এক্সইজ ও ভ্যাট গাজীপুর বিভাগে।
অফিস পিওন কাওসারের বড় ভাই শহিদুল এলাকায় গরুর দালালী করতো সেই সুবাদে ভালো জানতো তারই বাড়ির পাশে কাস্টমস অফিসার এনায়েত গাজী।
এনায়েত গাজীর হাতে পায়ে ধরে মাষ্টার রোলে চাকুরী নিয়ে দেয় অফিস পিয়ন কাওসারকে। কয়েক বছর যেতে না যেতেই অফিস পিওন কাওসার হয়ে যায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। বরগুনা জেলার ঘট বাড়িয়া থানার হরিদ্রবাড়িয়া গ্রামে বাড়ি এই কাস্টমস এর অফিস পিওন কাওসারের।
পিতা আব্দুর রহিম খান। চাকুরী হওয়ার পূর্বে অভাব ছিলো তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। অষ্টম শ্রেনী পাশের সার্টিফিকেট দিয়ে কাস্টম অফিসার এনায়েত এর মাধ্যমে নেয় মাষ্টাররোলের পিওন পদে চাকুরী। গাজীপুর কাস্টমস এর অফিস পিওন কাওসার এর বর্তমান জীবন এক অন্য রকম, অফিসে সাধা-মাঠা ভাবে গেলেও তার বাহিরের জীবন বিলাশ বহুল। দু-হাত ভরে টাকা উড়ায় এই কাওসার। বুনে গেছে নামে বে নামে কোটি টাকার সম্পত্তি। বরগুনায় গ্রামের বাড়িতে অর্ধকোটি টাকা দিয়ে তুলেছেন আলিসান বাড়ি। গ্রামে ক্রয় করেছে নামে বে নামে সম্পত্তি। বরগুনার লাকুরতলা নামক স্থানে মোস্তফা চেয়ারম্যানের ভাই মোশাররফের জমি ক্রয় করে অর্ধকোটি টাকা দিয়ে।
যাহা কাওসারের স্ত্রী ফাতিমা বেগমের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে। বরগুনার ভূত মারায় কিনেছে দুঃখী মেম্বারের জমি।
আরো রয়েছে বরগুনা মহাসড়কে পেট্রোল পাম্পের সাথে কোটি টাকা মুল্যর সম্পত্তি।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,
পেট্রোল পাম্পে আশে পাশে রয়েছে আরো দুই থেকে তিনটি প্লট ।এই অফিস পিওন কাওসার
রাজধানীর উত্তরায় দক্ষিণ খানে মোল্লাবাড়ির পিছনে ক্রয় করে টিনসেট ভবন সহ বাড়ি। ২১সালে উত্তরা থেকে অফিস পরিবর্তন করে নেয়া হয় গাজীপুর জয়দেবপুরের খন্দকার কমপ্লেক্স এ।
সেখানে যাওয়ার পরে ক্রয় করে গাজীপুর জেলায় জমি।
একজন অফিস পিয়ন কাওসার যার বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। অথচ সে বুনে গেছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। কি রয়েছে এর পিছনের কারণ? দুর্নীতি? তার স্যারদেরকে ম্যানেজ করে ঘুষ বাণিজ্য? এভাবেই দিনের পর দিন অফিস পিয়ন কাওসার গাজীপুরের খন্দকার কমপ্লেক্স কাস্টমসের আয়কর ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে সরকারকে। সরকারি অফিসে ঘুষ-বাণিজ্য যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। ১৪ বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি গড়া কি ভাবে সম্ভব একজন অফিস পিওনের? সাক্ষাৎকারে কাওসার বলে সে নাকি ব্যবসা করে। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে, কিসের ব্যবসা করেন, সে বলে আমার ভাই শহিদুল গরুর ব্যবসা করে যার ভাগিদার কাওসার। অথচ জানা যায় তার ভাই দুই যুগ ধরে গরুর দালালী করে আসছে কাওসারের বড় ভাই। তখন তো তাদের এই হাল ছিল না?নুন আনতে পান্তা ফুরাত, রাতারাতি গরুর ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়া যায় কি জনমনে প্রশ্ন থেকেই যায়? কিভাবে সম্ভব আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ এই কাওসারের।
তার রাজস্ব কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ও উপ -কমিশনার কে এ বিষয়ে কল দিলে রেসপন্স করেনি। আমি আশা করি এটি দুদকের নজরে খুব তাড়াতাড়ি আসা উচিৎ এই বিষয়টি । দেশের কর এভাবে দুর্নীতি করে শেষ করে দিচ্ছে। কাওসারের মতো কিছু পিয়ন রাজস্ব কর্মকর্তা কমিশনার কাস্টমস অফিসার মতিউর, কাস্টমস অফিসার এনামুল, সহ বড় বড় কর্মকর্তা কর্মচারীরা লুট বানিজ্য করে রাতারাতি হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার মালিক।