ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অফিস বন্ধ করল টুইটার

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা কিনে নেওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এবার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে টুইটার বাধ্য হয়ে সাময়িক সময়ের জন্য তাদের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। নতুন মালিক ইলন মাস্ক বৃহস্পতিবার কর্মীদের শর্ত দেন— দীর্ঘ সময় কাজ করতে হবে, নয়ত চাকরি ছাড়তে হবে। এ শর্ত মেনে নেওয়ার সময় বেধে দিয়ে একটি কাগজেও স্বাক্ষর করতে বলেন তিনি। তবে তার এ শর্ত বেশিরভাগ কর্মী প্রত্যাখ্যান করেন এবং গণহারে পদত্যাগ শুরু করেন। এরপরই টুইটার সাময়িক সময়ের জন্য তাদের অফিস বন্ধ করে দেয়।

বৃহস্পতিবার রাতে চলমান সংকট সর্বোচ্চ আকারে পৌঁছায়। এদিন কর্মীরা মাস্কের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর টুইটারের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

টুইটারে এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলার মধ্যে সাধারণ ব্যবহারকারীরা কোম্পানিটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছেন। ‘রিপ টুইটার’, ‘টুইটার ডাউন’ এমন হ্যাশট্যাগে ভরে যায় সামাজিক মাধ্যমটি।

টুইটার থেকে চাকরি ছাড়ার তালিকায় আছেন অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ার। যারা টুইটারের বাগ ঠিক করা এবং সেবা চালু রাখার কাজটি করে থাকেন। তারা চাকরি ছাড়ার পরই টুইটারের সেবা হুমকির মুখে পড়ে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্মীরা গণহারে পদত্যাগ শুরু করলে চিন্তায় পড়ে যান ম্যানেজাররা।

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক শর্ত জুড়ে দেওয়ার পর অনেকেই এটি প্রত্যাখ্যান করবেন বলে আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু যে পরিমাণ কর্মী এ শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে সেটি ধারণারও বাইরে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, টুইটার তার কর্মীদের কাছে পাঠানো ইমেইলে জানায়, সোমবার পর্যন্ত অফিস বন্ধ রাখা হবে এবং কর্মীদের জন্য টুইটারের অ্যাক্সেস বন্ধ থাকবে। এখন ব্যবহারকারীরা ধারণা করছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে টুইটারে ধস নামবে। ফলে এটির বিকল্প মাধ্যমগুলোতে চলে যাচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, ইলন মাস্ক কিছু কর্মীকে থেকে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

অফিস বন্ধ করল টুইটার

আপডেট সময় ০৭:৩৩:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইটারের মালিকানা কিনে নেওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। এবার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে টুইটার বাধ্য হয়ে সাময়িক সময়ের জন্য তাদের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। নতুন মালিক ইলন মাস্ক বৃহস্পতিবার কর্মীদের শর্ত দেন— দীর্ঘ সময় কাজ করতে হবে, নয়ত চাকরি ছাড়তে হবে। এ শর্ত মেনে নেওয়ার সময় বেধে দিয়ে একটি কাগজেও স্বাক্ষর করতে বলেন তিনি। তবে তার এ শর্ত বেশিরভাগ কর্মী প্রত্যাখ্যান করেন এবং গণহারে পদত্যাগ শুরু করেন। এরপরই টুইটার সাময়িক সময়ের জন্য তাদের অফিস বন্ধ করে দেয়।

বৃহস্পতিবার রাতে চলমান সংকট সর্বোচ্চ আকারে পৌঁছায়। এদিন কর্মীরা মাস্কের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর টুইটারের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

টুইটারে এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলার মধ্যে সাধারণ ব্যবহারকারীরা কোম্পানিটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছেন। ‘রিপ টুইটার’, ‘টুইটার ডাউন’ এমন হ্যাশট্যাগে ভরে যায় সামাজিক মাধ্যমটি।

টুইটার থেকে চাকরি ছাড়ার তালিকায় আছেন অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ার। যারা টুইটারের বাগ ঠিক করা এবং সেবা চালু রাখার কাজটি করে থাকেন। তারা চাকরি ছাড়ার পরই টুইটারের সেবা হুমকির মুখে পড়ে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্মীরা গণহারে পদত্যাগ শুরু করলে চিন্তায় পড়ে যান ম্যানেজাররা।

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক শর্ত জুড়ে দেওয়ার পর অনেকেই এটি প্রত্যাখ্যান করবেন বলে আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু যে পরিমাণ কর্মী এ শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে সেটি ধারণারও বাইরে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, টুইটার তার কর্মীদের কাছে পাঠানো ইমেইলে জানায়, সোমবার পর্যন্ত অফিস বন্ধ রাখা হবে এবং কর্মীদের জন্য টুইটারের অ্যাক্সেস বন্ধ থাকবে। এখন ব্যবহারকারীরা ধারণা করছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে টুইটারে ধস নামবে। ফলে এটির বিকল্প মাধ্যমগুলোতে চলে যাচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, ইলন মাস্ক কিছু কর্মীকে থেকে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।