‘জয়ল্যান্ড’ ছবির গল্পে এমন এক পরিবারকে দেখানো হয়। যেই পরিবারে পুত্রসন্তানকে মাথায় তুলে রাখা হয়। সেই পরিবারের ছোট ছেলে প্রথাগত ধারণার বাইরে গিয়ে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করে। শুরু করে নাচ-গান-নাটক। এক বৃহন্নলার প্রেমে পড়ে। আর এরকম বিষয়বস্তু তাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক বলেই মনে করেছিল পাকিস্তানের সরকার। তাই নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলেছিল সিনেমাটির ওপর।
অবশেষে ‘জয়ল্যান্ড’-এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল পাকিস্তান। সাইম সাদিক পরিচালিত এই ছবিটি নিয়ে দিন কয়েক ধরেই বিতর্ক চলছে। পাকিস্তান থেকে ছবিটি অস্কারের জন্য মনোনীত হলেও দেশে সেটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। সে দেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় তরফে ঘোষণা করা হয় ‘আপত্তিজনক’ বিষয় দেখানোর কারণেই এই সিদ্ধান্ত। তবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর এক দিন যেতে না যেতেই ব্যান তুলে নিল পাকিস্তান।
বুধবার সাংবাদিক রাফায় মাহমুদ টুইট করেন, ‘সেন্সর বোর্ডের ফুল বোর্ড রিভিউর পর পাকিস্তানের সব জায়গাতেই জয়ল্যান্ড মুক্তির অনুমতি মিলেছে। শুধু কিছু ছোট কাঁটাছেড়া হবে। আগের পরিকল্পনামতো ১৮ নভেম্বর মুক্তিরই চেষ্টা চালাচ্ছে পরিবেশকরা। সিনেমার গোটা টিমকে শুভেচ্ছা, তাদেরকেও যারা এই সিনেমার পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন।’ তিনি আরও জানান, এই ছবিকে নাকি কখনও অফিসিয়ালি ব্যানই করা হয়নি। আপাতত ডিস্ট্রিবিউটররা এনওসি সার্টিফিকেটের অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কান চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত প্রথম পাকিস্তানি ছবি ছিল ‘জয়ল্যান্ড’, পাশাপাশি সেখানে Un Certain Regard Jury Prize এবং Queer Palm award-এ সম্মানিত হয়েছে এই ছবি। পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর থেকেই #ReleaseJoyland ট্রেন্ড করতে থাকে টুইটারে। এটাকে ‘একরোখা’ এবং ‘অনৈতিক’ সিদ্ধান্ত দাবি তুলে প্রতিবাদে ভাসে নেটাগরিকদের বড় একটা অংশ।