ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড

ফ্রিজে থাকা প্রেমিকার মরদেহে মেকআপ দিতেন আফতাব

সিনেমার গল্পকেও হার মানাচ্ছে ভারতের দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ড। প্রেমিকের হাতে খুন তো হয়েছেনই, সেই খুনেরও নৃশংসতা একরকমের নজিরবিহীনই।  

শ্রদ্ধার প্রেমিক আফতাবের আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল এই হত্যাকাণ্ডের। সে অনুযায়ী খুনের পর তা ধামাচাপা দিতে পরিশ্রমও কম করেননি। মরদেহ থেকে যেন দুর্গন্ধ না ছড়ায় সে জন্য অনলাইনে কিনেছেন রাসায়নিক। মরদেহের ৩৫ টুকরোয় পচন রুখতে কেনেন বড়সড় ফ্রিজও।

একের পর এক এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, ফ্রিজ থাকা অবস্থাতেই নিয়মিত মেক আপ লাগাত সে শ্রদ্ধার মুখে। এখানেই শেষ নয়, বারবার ফ্রিজের পাল্লা খুলে দেখত ও তার সঙ্গে কথা বলতো।

দিল্লিতে যে ফ্ল্যাটে থাকতেন আফতার ও শ্রদ্ধা সেখানেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে রুম ফ্রেশনারের খালি বোতল পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর ঘর পরিষ্কার করতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধার মরদেহ ৩৫ টুকরো করতে ছোট করাত ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। তবে সেটি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিক ফ্রিজ বা ঘরে কোথাও এক ফোঁটা রক্তও পায়নি পুলিশ। এ থেকে তাদের ধরাণা- রক্ত মোছার জন্য সম্ভবত কোনো রাসায়নিক ব্যববহার করা হয়েছে।
সব কিছু দেখে দিল্লি পুলিশের একাংশের ধারণা আফতাবের মস্তিষ্ক বিকৃত। কিন্তু আরেক অংশ মনে করছে নিজেকে বিকৃত মস্তিষ্কের প্রমাণ করে অপরাধের সাজা থেকে বাঁচতে চাইছে সে। মার্কিন ক্রাইম শো ডেক্সটার দেখে আফতাব এ হত্যাকাণ্ডের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড

ফ্রিজে থাকা প্রেমিকার মরদেহে মেকআপ দিতেন আফতাব

আপডেট সময় ১১:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

সিনেমার গল্পকেও হার মানাচ্ছে ভারতের দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ড। প্রেমিকের হাতে খুন তো হয়েছেনই, সেই খুনেরও নৃশংসতা একরকমের নজিরবিহীনই।  

শ্রদ্ধার প্রেমিক আফতাবের আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল এই হত্যাকাণ্ডের। সে অনুযায়ী খুনের পর তা ধামাচাপা দিতে পরিশ্রমও কম করেননি। মরদেহ থেকে যেন দুর্গন্ধ না ছড়ায় সে জন্য অনলাইনে কিনেছেন রাসায়নিক। মরদেহের ৩৫ টুকরোয় পচন রুখতে কেনেন বড়সড় ফ্রিজও।

একের পর এক এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, ফ্রিজ থাকা অবস্থাতেই নিয়মিত মেক আপ লাগাত সে শ্রদ্ধার মুখে। এখানেই শেষ নয়, বারবার ফ্রিজের পাল্লা খুলে দেখত ও তার সঙ্গে কথা বলতো।

দিল্লিতে যে ফ্ল্যাটে থাকতেন আফতার ও শ্রদ্ধা সেখানেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে রুম ফ্রেশনারের খালি বোতল পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর ঘর পরিষ্কার করতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধার মরদেহ ৩৫ টুকরো করতে ছোট করাত ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। তবে সেটি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিক ফ্রিজ বা ঘরে কোথাও এক ফোঁটা রক্তও পায়নি পুলিশ। এ থেকে তাদের ধরাণা- রক্ত মোছার জন্য সম্ভবত কোনো রাসায়নিক ব্যববহার করা হয়েছে।
সব কিছু দেখে দিল্লি পুলিশের একাংশের ধারণা আফতাবের মস্তিষ্ক বিকৃত। কিন্তু আরেক অংশ মনে করছে নিজেকে বিকৃত মস্তিষ্কের প্রমাণ করে অপরাধের সাজা থেকে বাঁচতে চাইছে সে। মার্কিন ক্রাইম শো ডেক্সটার দেখে আফতাব এ হত্যাকাণ্ডের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের।