বগুড়া শহরের নারুলী এলাকার ভাড়াবাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ একই পরিবারের সাত সদস্যকে অবশেষে পাওয়া গেছে। স্বাবলম্বী হতে বাধা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে তারা স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা নিখোঁজের পাঁচদিন পর সোমবার রাতে তাদের রাঙামাটির সদর উপজেলার চেয়ারম্যানপাড়া থেকে উদ্ধার করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন এ তথ্য দেন।
উদ্ধার হওয়া সাতজন হলেন- লালমনিরহাটের খোঁচাবাড়ির আবদুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৮), তার ছেলে বিক্রম আলী (১৩), ছোট মেয়ে রুনা খাতুন (১৫), বড় মেয়ে জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩২), নাতনি বৃষ্টি খাতুন (১৪) এবং ছয় বছরের যমজ নাতি হাসান ও হোসেন।
আবদুর রহমান গত ৬ জুলাই বগুড়া সদর থানায় জিডিতে উল্লেখ করেন, তিনি গত ১০ বছর শহরের নারুলি এলাকার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। গত ৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে ফাতেমা ও তার পরিবারের ছয় সদস্য বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের খোঁচাবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।
এদিকে পিবিআই বগুড়া ইউনিটের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোঁজ সাতজনের সন্ধান পান। সোমবার রাতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেমা বেগম ও তার বড় মেয়ে রুমি বেগম জানান, তাদের স্বামীরা রোজগার নিয়ে কটু কথা শোনাতেন। তাদের স্বাবলম্বী হতে দিতেন না। এছাড়া মাঝে মাঝেই তাদের মানসিক নির্যাতন করতেন। তাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে নিজেরা আয় করে স্বাবলম্বী হতে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তারা রাঙামাটি সদর উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় আত্মীয় বাড়িতে উঠেন। সেখানে তারা কাজের সন্ধান করছিলেন।
পিবিআই বগুড়া ইউনিটের ইন্সপেক্টর জাহিদ জাহিদ হোসেন জানান, পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে উদ্ধার করা সাতজনকে বগুড়া সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।