ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ বোরহানউদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন সমন্বয়‌কের বাড়ির দেয়া‌লে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ লিখে হুমকি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫ ১৬ বছরের জেদ, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই চুল কাটবেন সাবু! পর্যটক সীমিত করলেও নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবনসেন্টমার্টিনে জামালপুরে ফুলকপি ও লাউয়ের মিশ্র চাষে লাভবান আনিস আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে নিজের মনে করে ব্যবহার করেছেন:রংপুরে জামাতের আমীর মঠবাড়িয়ায় আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

ঘুষ নেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

  • স্টাফ রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০২:৩১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • ৫৬৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর আলম সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে ঘুষ ছাড়া কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তিনি ঘুষ নিয়েও সঠিক সময়ে কাজ না করে হয়রানি করছেন বলে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। তবে এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা।

 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ইউনিয়নে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হয়। সেবা গ্রহীতার অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত কর্মকর্তার সাথে।

 

অভিযোগকারী ব্যক্তি হলেন ওই ইউনিয়নের খেরুদিয়া গ্রামের আবদুর রহমান বকাউলের স্ত্রী আমেনা বেগম লাকী। তিনি সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ায় গত ২৪ জুন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

 

অভিযোগে আমেনা বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামীর নামীয় ৯ শতক জমি খাজনা দাখিল অনলাইন করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আলমগীর আলম তাকে কাজটি করে না দিয়ে টালবাহান করেন। তিনি এই কাজের জন্য ওই কর্মকর্তাকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও সেবা পাননি। পরবর্তীতে গেলে আলমগীর আলম ও তার অফিসের ঝাড়ুদার তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। এসব কারণে তিনি প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন।

 

আমেনা বেগম বলেন, ‘এই কর্মকর্তার কাছে সেবার জন্য গেলে সবাইকে তিনি হয়রানি করেন। ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেন সরকার যে কয়টাকা বেতন দেয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। টাকা না দিলে আমি কোন কাজ করবো না। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী এবং যারা তার কাছে গিয়ে হয়রানির শিকার হন সকলের দাবি তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

 

এই বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর আলম বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সতত্যা যাচাই করছে। অভিযোগের আলোকে আমি ও আমেনা বেগম লাকী বক্তব্য দিয়েছি। আপাতত এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘সেবা নিতে আসা আমেনা বেগম লাকী যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। উনি যখন আমার কাছে সেবা নিতে এসেছেন আমরা তখন অফিসের নিজস্ব কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আর উনার কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর নিয়ে সমস্যা ছিলো। সে জন্য কাজটি করতে দেরি হয়েছে। তবে আমি উনার কাজ সম্পন্ন করেছি।’

 

অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক আমলে নেওয়ার পর উভয় পক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। অভিযোগকারী আমেনা বেগম লাকী ও অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর আলমের সাথে সরাসরি নিজ দপ্তরে কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

 

মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগকারী আমেনা বেগম লাকী বলেছেন তাকে হয়রানি ও নাম জারির জন্য অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে। আর আলমগীর আলম তা অস্বীকার করেছেন। মূল সত্যটা বেরিয়ে না আসায় এই বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি তাদের বক্তব্যের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাবো। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ

ঘুষ নেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুর ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০২:৩১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর আলম সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে ঘুষ ছাড়া কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তিনি ঘুষ নিয়েও সঠিক সময়ে কাজ না করে হয়রানি করছেন বলে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। তবে এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা।

 

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ইউনিয়নে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হয়। সেবা গ্রহীতার অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় অভিযুক্ত কর্মকর্তার সাথে।

 

অভিযোগকারী ব্যক্তি হলেন ওই ইউনিয়নের খেরুদিয়া গ্রামের আবদুর রহমান বকাউলের স্ত্রী আমেনা বেগম লাকী। তিনি সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ায় গত ২৪ জুন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

 

অভিযোগে আমেনা বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামীর নামীয় ৯ শতক জমি খাজনা দাখিল অনলাইন করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। কিন্তু ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আলমগীর আলম তাকে কাজটি করে না দিয়ে টালবাহান করেন। তিনি এই কাজের জন্য ওই কর্মকর্তাকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও সেবা পাননি। পরবর্তীতে গেলে আলমগীর আলম ও তার অফিসের ঝাড়ুদার তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। এসব কারণে তিনি প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন।

 

আমেনা বেগম বলেন, ‘এই কর্মকর্তার কাছে সেবার জন্য গেলে সবাইকে তিনি হয়রানি করেন। ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেন সরকার যে কয়টাকা বেতন দেয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। টাকা না দিলে আমি কোন কাজ করবো না। আমি নিজে একজন ভুক্তভোগী এবং যারা তার কাছে গিয়ে হয়রানির শিকার হন সকলের দাবি তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

 

এই বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগীর আলম বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সতত্যা যাচাই করছে। অভিযোগের আলোকে আমি ও আমেনা বেগম লাকী বক্তব্য দিয়েছি। আপাতত এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘সেবা নিতে আসা আমেনা বেগম লাকী যেসব অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। উনি যখন আমার কাছে সেবা নিতে এসেছেন আমরা তখন অফিসের নিজস্ব কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আর উনার কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর নিয়ে সমস্যা ছিলো। সে জন্য কাজটি করতে দেরি হয়েছে। তবে আমি উনার কাজ সম্পন্ন করেছি।’

 

অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক আমলে নেওয়ার পর উভয় পক্ষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। অভিযোগকারী আমেনা বেগম লাকী ও অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর আলমের সাথে সরাসরি নিজ দপ্তরে কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

 

মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগকারী আমেনা বেগম লাকী বলেছেন তাকে হয়রানি ও নাম জারির জন্য অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে। আর আলমগীর আলম তা অস্বীকার করেছেন। মূল সত্যটা বেরিয়ে না আসায় এই বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি তাদের বক্তব্যের বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাবো। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’