ফ্রেয়া হান্টার। বছর বারোর কিশোরী— স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা। সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের সাহায্যে ছোট্ট মেয়েটির প্রাণটুকু বেঁচে রয়েছে।
সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত এই কিশোরীর খবর পেয়েছিলেন সংবাদমাধ্যম থেকে। ব্যস ওইটুকুই। তারপর আর স্থির থাকতে পারেননি। কিশোরীকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন ‘টাইটানিক’ খ্যাত কেট উইন্সলেট ওরফে রোজ।
বিবিসি স্কটল্যান্ড-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই লাইফ সাপোর্ট চালাতে হান্টার পরিবারের বছরে খরচ হয় ৬,৫০০ পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ লাখ টাকার বেশি। কিন্তু এই পরিমাণ বিদ্যুতের খরচ টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হান্টার পরিবারকে। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর নজর কেড়েছিল কেটের। একটি অসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় তিনি যোগাযোগ করেন হান্টার পরিবারের সঙ্গে। শুধু যোগাযোগ করাই নয়, ফ্রেয়াকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ১৭ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকার বেশি) সহযোগিতা করেছেন।
‘টাইটানিক’ খ্যাত নায়িকার এই মানবিক রূপে মুগ্ধ ফ্রেয়ার মা ক্যারোলিন বলেন, ‘একটা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলাম। একটা সময় মনে হয়েছিল সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু যখন অর্থ সাহায্যের খবর পেলাম, কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। বিশ্বাসই হচ্ছিল না।’
লাইফ সাপোর্ট যন্ত্রের কারণে আসা বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিশাল সমস্যায় পড়েন ফ্রেয়ার মা ক্যারোলিন হান্টার। বিদ্যুৎ সংস্থা থেকে বার্তাও দেওয়া হয়েছিল তাকে।