টাঙ্গাইলে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে নূরুল আমিন তালুকদার নামে এক সাব-রেজিস্ট্রার, তার স্ত্রী ও মেয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার (৫ জুন) টাঙ্গাইলের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা এ নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত নুরুল আমিন তালুকদার বর্তমানে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
আদালতের নির্দেশে সাব-রেজিস্ট্রার নুরুল আমিন তালুকদার তার স্ত্রী নুরুন্নাহার খানম এবং মেয়ে জিনাত তালুকদারের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুর্নীত দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে নুরুল আমিন তালুকদারের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করে দুদক।
দুদকের তথ্য মতে, নুরুল আমিন তালুকদারের চারটি ব্যাংক হিসাবে ১২ লাখ ১ হাজার ১১১ টাকা, স্ত্রী নুরুন্নাহারের ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৮ টাকা এবং মেয়ে জিনাত তালুকদারের ৪টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮২ হাজার ১৩৩ টাকাসহ সর্বমোট ৫ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১২ টাকা জব্দ করা হয়।
এছাড়াও নুরুল আমিন তালুকদারের স্ত্রী নুরুন্নাহার খানমের ৭৫ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার ৯৪০ টাকা। মেয়ে জিনাত তালুকদারের নামে ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার মূল্য ৭৭ লাখ টাকা। জিনাতের একটি প্রাইভেট কার (টয়োটা) রয়েছে, যার মূল্য ২৯ লাখ টাকা। এসব সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়াও ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
সাব-রেজিস্ট্রার নুরুল আমিন তালুকদার গণমাধ্যম কে বলেন, দুদকের অনুসন্ধানের কোনো অভিযোগের কপি বা আদালত আমার স্ত্রী ও মেয়ের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ ব্যাংক হিসাব জব্দের বিষয়ে জানা নেই।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. নুর আলম গণমাধ্যম কে জানান, এসবের বাহিরে তার কোনো সম্পদ আছে কিনা তা জানতে চাওয়া হবে। এছাড়াও অভিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।