২৪ বছর বয়সী কলকাতার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা লড়াই জারি রেখেছেন। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। শনিবার ১২ তম দিনেও জ্ঞান ফেরেনি অভিনেত্রীর। তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন নেটপাড়া থেকে শুরু করে তার সহকর্মী ও পরিবার।
শনিবার হাসপাতাল সূত্রে খবর, সংক্রমণ বেড়েছে ঐন্দ্রিলার। রয়েছে জ্বরও। তার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। এদিন বাড়ানো হয়েছে ঐন্দ্রিলার ভেন্টিলেশনের মাত্রা। শুক্রবারের তুলনায় তার অবস্থার সামান্য অবনতি হয়েছে। শুক্রবার হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, জ্বর বেড়েছে ঐন্দ্রিলার। যেটি চিন্তার বিষয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যেই ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল বোর্ড অভিনেত্রীর অ্যান্টিবায়োটিক পরিবর্তন করে দিয়েছেন। রিপিট স্ক্যান করার কথাও জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
গত বুধবার জানা গিয়েছিল নতুন করে শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। তার স্নায়ুজনিত সমস্যা একই রয়ে গিয়েছে। ঐন্দ্রিলার জ্ঞান ফেরেনি। সি প্যাপ ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে তাকে। এরপর গত বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল যে সংক্রমণের পরিমাণ কমেছে এমনকি অভিনেত্রীর অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাও কমানো হয়েছিল। ওষুধে কিছু হেরফের করা হয়েছিল। ভেন্টিলেশনও বাড়ানো হয়নি।
মাঝে একদিন ঐন্দ্রিলার বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী লিখেছিলেন যে ঐন্দ্রিলা ভালো আছেন। কিন্তু তার কয়েকদিনের মাথায় ফের অবস্থার অবনতি ঘটে ঐন্দ্রিলার। গত সোমবার সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়।