অনন্যা পান্ডের সঙ্গে তরুণ বলিউড অভিনেতা ঈশান খাট্টারের সম্পর্ক ইতি টানার কয়েক মাস হয়ে গেছে। তবু এখনও তার সঙ্গে বেশ চমৎকার সম্পর্ক ঈশানের। শুধু তাই নয়, যেকোনো সম্পর্ক অনেক কিছু শেখায় বলেও দাবি করেছেন তিনি। এখান থেকেও শিখেছেন বলে জানান।
অনেক কিছু গ্রহণ করতে হয়, ভালোবাসার যোগ্য হয়ে উঠতে হয় আগে— এসব আগে বুঝতেন না ঈশান। জানালেন, অনন্যার কাছে তিনি ঋণী। ছবির প্রচারে গিয়ে নানা বিষয়ে কথা বলছেন ঈশান খাট্টার। তার মধ্যেই এসেছে পুরোনো প্রেমের প্রসঙ্গ। ৪ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে ভৌতিক কমেডি ‘ফোন ভূত’। এক প্রচার অনুষ্ঠানে গিয়ে ঈশান বলেন, ‘আমার আফসোস হয়, নিজেকে বড্ড বেশি ছড়িয়ে ফেলেছিলাম। অনেক সময়ই আমি সেটা করি। দরকার না থাকলেও। নিজের সবটা দিয়ে দিয়েছিলাম সম্পর্কে। তবে যেটা নিয়ে আক্ষেপ নেই, সেটা হলো আমার আবেগ। আমি মানুষটাই নরম, সেটাই আমি। কিন্তু কিছু সময় ভারসাম্য রেখে চলা গুরুত্বপূর্ণ।’
অনেক কিছু করতে পারতেন, আবার অনেক কিছু না করলেও পারতেন— এসব ভেবে চলেন ২৭ বছরের ঈশান। দীর্ঘ তিন বছর প্রেম করার পর মাস কয়েক আগেই আলাদা হয়েছেন ঈশান-অনন্যা। করণ জোহরের কফির আড্ডায় বিষয়টা স্পষ্ট করেছিলেন ‘ধড়ক’ অভিনেতা। তবু সম্পর্ক এখনও মধুর। ঈশান জানিয়েছিলেন, অনন্যার সঙ্গে তার হৃদ্যতা অন্য মাত্রার। প্রেমের সম্পর্কে না থাকলেও তিনি এখনও খুব কাছের। চিরকাল কাছের মানুষই থাকবেন।
ঈশানের পাশে ছিলেন দাদা শাহিদ কাপুরও। সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে অনেক সময় নিজেকে হারিয়ে ফেলে মানুষ। অস্তিত্ব সংকটে ভোগে। সেটা একেবারেই হতে দেওয়া উচিত নয়— ভাইকে বুঝিয়েছিলেন শাহিদ। ঈশান খাট্টারের সঙ্গে অনন্যা পান্ডের সদ্য বিচ্ছেদের নেপথ্যেও কি দাদার সেই উপদেশ? অনেকেই মনে করেন। যদিও অনন্যা এবং ঈশান তিক্ততা না রেখে নিজেদের সিদ্ধান্তেই সম্পর্ক শেষ করেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘অনন্যার থেকে একটা জিনিস চুরি করেছিলাম। সেটা হলো ওর মিষ্টি হাসি!’